বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মামলামুক্ত হয়েছেন। তিনি শারীরিক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের নেতৃত্ব দেবেন। নির্বাচনে প্রার্থীও হবেন তিনি। তার জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও মামলামুক্ত হয়ে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্যদিকে রাজনীতি ও নির্বাচনে বিএনপি ও খালেদা জিয়ার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ ও তার সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা রয়েছে। নির্বাচনের আগে কোনো মামলায় দণ্ডিত হলে তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ অবস্থায় শেখ হাসিনা ও জয় উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেবেন। তারা জামিন নিয়ে রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে লন্ডনে চিকিৎসারত খালেদা জিয়া শারীরিক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বিএনপির দৃশ্যমান নেতৃত্বে থাকছেন। অসুস্থতার কারণে তিনি সরাসরি দলের নেতৃত্ব দিতে পারছেন না। তার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমানও দেশে এসে দলের দায়িত্ব নেওয়ার অবস্থানে নেই। মামলার জটিলতা সারতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে তার মামলাগুলোর নিষ্পত্তি হবে বলে বিএনপির নেতৃস্থানীয়রা আশাবাদী। সেটা সম্ভব হলে আগামী এপ্রিল মাসে দেশে এসে তিনি দলের নেতৃত্ব দেবেন। তবে লন্ডন বা আমেরিকায় উন্নতমানের চিকিৎসা শেষে বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরে দলের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো শারীরিক সক্ষমতা অর্জন করবেন বলে গভীরভাবে আশাবাদী বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না-ও পেতে পারেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন আদালতে শেখ হাসিনার বিচার হচ্ছে। সরকার আগামী তিন মাসের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের বেলায়ও একই অবস্থা। ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা ও জয় দোষী সাব্যস্ত হলে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন। একই সঙ্গে জামিনের আবেদন করবেন। তবে জামিন নিয়ে তাদের সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে ও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ সীমিত বলেই মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।