বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার অভিযোগে উত্তরা পূর্ব থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ওই থানারই সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম। গতকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) মধ্যরাতে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল উত্তরা পূর্ব থানার একটি দল। কিন্তু এরপর সেখান থেকে ঢাকায় আনলেও কয়েক ঘণ্টাও আটকে রাখা যায়নি তাকে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে থানা-পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়েছেন তিনি।
ওসি শাহ আলম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন শেষ সময়ে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সর্বশেষ তিনি ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে পরিদর্শক কুষ্টিয়ায় কর্মরত ছিলেন। ২ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয় তাকে।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের পদস্থ একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার করলেও কেউই নিজের পরিচয় দিতে চাননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডিএমপি পুলিশের একটি দল বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস এলাকা থেকে শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে। সেই গ্রেপ্তার অভিযানে ছিলেন উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন শরীফ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আ. জব্বার, কনস্টেবল বিল্লাল ও সোহেল। পরবর্তী সময়ে কুষ্টিয়া থেকে বুধবার মধ্যরাতে তাকে উত্তরা পূর্ব থানায় এনে হেফাজতে রাখা হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে তিনি পালিয়ে যান।
তবে এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার কোনো সদস্য নাম-পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে চাননি।
এদিকে শাহ আলমের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানতে তার স্ত্রী শাপলা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘শাহ আলমের কোনো খোঁজখবর তার কাছে নেই। মোবাইল ফোনও বন্ধ পাচ্ছেন।’
ঠিকানা/এনআই