এফসি ডালাসের মাঠে যে কঠিন পরীক্ষা দিতে হতে পারে, তা আগেই বলেছিলেন ইন্টার মায়ামি কোচ টাটা মার্তিনো। হলোও তা-ই। বারুদে এক ম্যাচের সাক্ষী হলো দর্শক। ষষ্ঠ মিনিটেই লিওনেল মেসি দলকে এগিয়ে নিলেও একপর্যায়ে ডালাস এগিয়ে গেল ৪-২ ব্যবধানে। সেখান থেকে মেসির জাদুতেই সমতা নিয়ে শেষ করা মায়ামির। পরে টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হলো ম্যাচের, যেখানে জয় হলো মায়ামির।
ডালাসের টয়োটা স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় ৬ আগস্ট রোববার রাতে লিগস কাপের শেষ ষোলোর ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে ৪-৪ সমতায় শেষ হয়। এরপর টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলের জয় তুলে নিয়ে শেষ আটে পা রাখে মায়ামি।
টাইব্রেকারে মেসিদের হয়ে একে একে গোল করেন লিওনেল মেসি, সার্জিও বুসকেটস, লিওনার্দো কাম্পানা, কামাল মিলার ও বেঞ্জামিন ক্রেশাশ্চি। ডালাসের হয়ে পল অরিওলা, ফাকুন্দো কুইগনন, জেসুস ফেরেইরা গোল পেলেও প্যাক্সটন পমিকাল ব্যর্থ হন।
এর আগে দুই দলের লড়াইটা হলো সেয়ানে সেয়ানে। মেসির ঝলকে মায়ামি প্রথম লিড নিলেও ২-১ এ এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ডালাস। দ্বিতীয়ার্ধে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুই দল করে তিন গোল।
দুই দফায় দুই গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া মায়ামির হারের শঙ্কাও জাগে। তবে দলটা ফিরে এসেছে প্রতিবারই। শেষে তো মেসিই তার ট্রেডমার্ক ফ্রি-কিকে গোল আদায় করে পেনাল্টিতে নিয়ে যান ম্যাচ।
ষষ্ঠ মিনিটে জর্দি আলবার অ্যাসিস্টে দারুণ এক গোল করেন মেসি। বাঁ প্রান্তে বক্সের সামান্য বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে বল জালে জড়ান তিনি।
তবে ৩৭তম মিনিটে ফ্যাকুন্ডো কুইগনন সমতা (১-১) এনে দেন ডালাসকে। ৪৫তম মিনিটে বার্নার্ড কামুঙ্গো গোল করে ২-১ এ এগিয়ে দেন ডালাসকে।
ম্যাচের আগে ডালাসের আর্জেন্টাইন তারকা আলান ভেলাস্কো গোল করতে চেয়েছিলেন মেসির বিপক্ষে। ৬৩তম মিনিটে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেন তিনি। তাতে ডালাস ৩-১ গোলে এগিয়ে যায়।
তবে দুই মিনিট পরই ক্রেশাশ্চি মায়ামির পক্ষে ৩-২ করেন। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই আত্মঘাতী গোল হজম করে বসে মায়ামি। আক্রমণ রুখতে গিয়ে রবার্ট টেইলর নিজেদের জালেই বল ঠেলে দেন। তাতে ৪-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে মায়ামি।
৮০তম মিনিটে আত্মঘাতী গোলেই মায়ামি ৪-৩ করে। এর পাঁচ মিনিট পর মেসি ফ্রি-কিকে গোল করে ম্যাচ নিয়ে যান টাইব্রেকারে।
মায়ামির জার্সিতে অভিষেকের পর চার ম্যাচের সব কটিতেই গোল পেলেন মেসি। প্রথম ম্যাচে একটি গোল করলেও পরের তিন ম্যাচেই পেলেন দুটি করে গোল। চার ম্যাচে তার গোলের সংখ্যা ৭।
ঠিকানা/এনআই