হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে ৬ আগস্ট (রবিবার) সন্ধ্যা থেকেই বাড়তি সতর্কতা। বিমানবন্দরে ছিল গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়। বিশ্বকাপ ট্রফি বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে এমন আবহই দেখা গেল বিমানবন্দরে। অবশেষে তিনদিনের জন্য স্বপ্নের সেই সোনালী ট্রফি এসেছে বাংলাদেশে।
৬ আগস্ট (রবিবার) দিনগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে কালো একটি বাক্সে করে কড়া নিরাপত্তায় বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসে ট্রফি বহনকারী আইসিসির প্রতিনিধিদল। বিসিবির একটি প্রতিনিধি দল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ট্রফি নিয়ে আগত অতিথিদের স্বাগত জানায়।
তিন দিন ঢাকায় থাকবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফিটি। ভারত থেকে যাত্রা শুরু করেছিল বিশ্বকাপ ট্রফি। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি, যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ঘুরে বিশ্বকাপ ট্রফি আসছে বাংলাদেশে। ট্রফি প্রদর্শনের জন্য তিনটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিসিবি থেকে আরও জানা গেছে, আজ ৭ আগস্ট (সোমবার) প্রথমে পদ্মা সেতুতে ছবি তোলার জন্য নেয়া হবে ট্রফি। সেখানে দুপুর ৩টা পর্যন্ত মাওয়া প্রান্তে রাখা হবে ট্রফি। এরপর ট্রফি নিয়ে যাওয়া হবে রাজধানীর একটি হোটেলে। যদিও ২০১৯ বিশ্বকাপের সময় ট্রফি নেয়া হয়েছিল জাতীয় সংসদ ভবনে।
আগামীকাল ৮ আগস্ট (মঙ্গলবার) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেওয়া হবে ট্রফি। ক্রিকেটার, বিসিবি পরিচালক, বিসিবির কর্মকর্তা-কর্মচারী, ক্রিকেট সংগঠক ও ক্রীড়া সাংবাদিকদের ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ দেয়া হবে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ট্রফি থাকবে স্টেডিয়ামে।
শেষ দিন ৯ আগস্ট (বুধবার) ঢাকার বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে সর্বসাধারণের জন্য ট্রফি প্রদর্শন করা হবে। একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে ভক্তরা ছবি তুলতে পারবেন। এজন্য কোনো টিকিট লাগবে না। সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ট্রফি দেখার সুযোগ পাবেন ভক্তরা। এরপর বাংলাদেশ থেকে ট্রফি যাবে কুয়েতে।
গত ২৭ জুন বিশ্বকাপের চিরায়ত ট্রফিটি ভূপৃষ্ঠ থেকে এক লাখ ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় মহাশূন্যে উন্মোচন করে নামানো হয় আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। এরপর সেই ট্রফিটি বিশ্ব ভ্রমণ শুরু করে। ৪ সেপ্টেম্বর ফের ভারতে শেষ হবে ট্রফির এই যাত্রা। আইসিসি জানায়, এবার সবচেয়ে বেশি ১৮টি দেশে ভ্রমণ করছে বিশ্বকাপ ট্রফি।
ঠিকানা/এসআর