বর্ষা উপভোগ্য হলেও এই সময়ে দেখা দেয় নানান রোগ। তাই সুস্থ থাকতে খাবার বাছাই করতে হবে অনেক বেশি সচেতনভাবে।
পছন্দসই খাবারের হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিকরও যেন হয় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
এই বিষয়ে ভারতীয় পুষ্টিবিদ বিধি চাওলা বর্ষায় খাবার নিবার্চনে লক্ষ্যণীয় দিক ও নির্বাচনের উপায় সম্পর্কে জানান ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে।
পুষ্টিকর নাস্তা বাছাই করা
কড়া ভাজা বা শর্করাযুক্ত খাবার খেতে মজাদার হলেও এর পরিবর্তে পুষ্টিকর বিকল্প বাছাই করা উচিত। এক মুঠ বাদাম, ভাজা ছোলা বা মসলাযুক্ত পপ কর্ন বাছাই করা যায়। এগুলো খেতেও মজাদার এবং পুষ্টিকর।
মৌসুমি ফল
বর্ষাকালে নানান রকমের ফলমূল পাওয়া যায়, যেমন- আপেল, নাশপাতি, ডালিম, বেরি ইত্যাদি। এগুলো আঁশ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রাকৃতিক চিনি সমৃদ্ধ। সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এসব ফল পুষ্টি উপাদানে ভরপুর।
বর্ষাকালে উষ্ণ স্বাদ নিতে সুপ ও স্ট্যু বেশ উপকারী। সবজি, ডাল ও চর্বিহীন মাংসের তৈরি সুপ খেতে মজাদার ও পুষ্টিকর। এটা পেট ভরা রাখার পাশাপাশি শরীর আর্দ্র রাখে এবং পুষ্টি যুগিয়ে সার্বিক সুস্থতা নিশ্চিত করে।
হালকা রান্না করা খাবার
এই মৌসুমে ক্ষুধাভাব বাড়ে। সুস্থ থাকতে এই সময়ে হালকা রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত যেন আলসেভাব না লাগে।
হালকা ভাজা সবজি, ভাঁপানো মাছ বা গ্রিল করা মুরগির মাংস এই সময়ের জন্য উপযোগী। এতে খাবারের পুষ্টিমান বজায় থাকে এবং সহজে হজম হয়।
মসলা চা
ক্ষুধাভাব অনেক সময় পানিশূন্যতার সংকেত দেয়।
ভেষজ চা যেমন- আদা, লেমন গ্রাস বা দারুচিনি দিয়ে তৈরি করা মজাদার চা বেছে নেওয়া যেতে পারে। এসব চা দেহের আর্দ্রতা রক্ষার পাশাপাশি ক্ষুধাভাব নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
উপরের উপায়গুলো অনুসরণ করে বর্ষাকালে পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে সুস্থ থাকা যায়। এছাড়াও দেহ কী চাচ্ছে সে বিষয়ে খেয়াল করা, ধ্যান ও পুষ্টির প্রাধান্য দেওয়া শরীর ও মন ভালো রাখতে সহায়তা করে।
ঠিকানা/এসআর