Thikana News
২৫ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

রোহিঙ্গাদের অর্থায়ন নিশ্চিতে জাতিসংঘের প্রতি এনটিএফের আহ্বান

রোহিঙ্গাদের অর্থায়ন নিশ্চিতে জাতিসংঘের প্রতি এনটিএফের আহ্বান



 
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (এফডিএমএন) সংক্রান্ত ন্যাশনাল টাস্কফোর্স (এনটিএফ) রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশের স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য চলমান মানবিক কার্যক্রম টিকিয়ে রাখতে পর্যাপ্ত তহবিল নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘ (ইউএন) ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

২৮ ডিসেম্বর (শনিবার) মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এনটিএফের চেয়ারপারসন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনটিএফের ৪৬তম বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়। বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব পুনর্ব্যক্ত করেন যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনই এ সংকটের একমাত্র দীর্ঘমেয়াদী সমাধান। তিনি বলেন, ‘আমরা এ সংকট সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সমস্ত অংশীজনদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

জাতিসংঘ সংস্থার প্রতিনিধি, বিশ্বব্যাংক, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের সুবিধার্থে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি জোরালো আবেদন জানানো হয়, যাতে তাদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা রাখাইন রাজ্যে বর্তমান উদ্যোগের বিষয়ে বৈঠকে ব্রিফ করেন এবং সেখানে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য নিরাপদ ও অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।

বৈঠকে ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনাসহ কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা জনসংখ্যা সংক্রান্ত জটিল সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়।

আলোচনায় বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সহায়তায় রোহিঙ্গা ও স্থানীয় উভয় সম্প্রদায়ের জন্য অর্থায়নের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতির কারণে উদ্ভূত নানা চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে আর্থ-সামাজিক ও নিরাপত্তার ওপর এর বিরূপ প্রভাবগুলো তুলে ধরেন। বৈঠকে ক্যাম্পে ও এর আশপাশে সার্বিক নিরাপত্তা বাড়ানো এবং মিয়ানমারের সদ্য আগত নাগরিকদের চাহিদা পূরণের ওপর জোর দেওয়া হয়। সূত্র: বাসস

ঠিকানা/এএস 

কমেন্ট বক্স