চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে পণ্যবাহী জাহাজে সাতজনকে হত্যার ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়৷ নিহতদের স্বজনরা এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেছেন।
২৩ ডিসেম্বর (সোমবার) সকালে চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা এমভি আল বাখেরা লাইটার জাহাজে ক্রুদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপর জাহাজ থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া একজন ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে মরদেহ চিহ্নিত করতে স্বজনরা ভিড় করেছেন। তাদের আহাজারিতে আকাশ ভারী হয়ে উঠেছে। ডাকাত নাকি পূর্ব শত্রুতার জেরে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা নিয়ে এখনও রয়েছে ধোঁয়াশা। স্বজনদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত আমিনুল মুন্সির ভগ্নিপতি এনায়েত হোসেন তুষার বলেন, ‘জাহাজে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পারি। প্রথমে এই খবর বিশ্বাস হচ্ছিল না। সকালে হাসপাতালে এসে লাশ শনাক্ত করি। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তা না হলে এভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হতো না। যদি ডাকাতরা এই কাজ করত, মানিব্যাগ, মোবাইল ও অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করত। আমাদের দাবি, দ্রুত হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
শেখ সবুজের ছোট ভাই রেজাউল করিম বলেন, ‘গতকাল বিকালের পর খবর আসে আমার বড় ভাই এবং আমার মামা কিবরিয়া জাহাজে খুন হয়েছে। রাতেই ফরিদপুর থেকে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে আসি। পরে লাশ দেখে শনাক্ত করি। লাশ দেখে পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড মনে হাচ্ছে। আমরা এ ঘটনায় দোষীদের বিচার চাই।’
আজই ময়নাতদন্ত শেষে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে মরদেহ পরিবার কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম এস ইকবাল বলেন, ‘তদন্ত ছাড়া এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার রেশ ধরে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে। ইতোমধ্যে আমাদের টিম কাজ শুরু করেছে। পরিবার মামলা না করলে পুলিশ মামলা করবে। যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদেরকে দ্রুত আইনের আনা হবে।’
ঠিকানা/এসআর