ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পরবর্তী নতুন সিরিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারে নিযুক্ত হয়েছেন একজন নারী মন্ত্রী। নবনিযুক্ত নারীবিষয়ক মন্ত্রীর নাম আয়শা আল-ডিবস, যিনি একজন অধিকারকর্মী হিসেবে সুপরিচিত। খবর আল জাজিরার।
সিরিয়ায় বিদ্রোহী সশস্ত্র যোদ্ধাদের দামেস্ক দখলের মধ্য দিয়ে গত ৮ ডিসেম্বর পতন ঘটে দুই যুগ ধরে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের। এরপরই সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে এতদিনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএস ও তাদের মিত্ররা।
অন্তর্বর্তী সরকারে নবনিযুক্ত নারী মন্ত্রী আয়শা আল-ডিবস বলেন, নতুন সিরিয়ায় নারীরাও মূখ্য ভূমিকা পালন করবে। এক দশকেরও বেশি সময় গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়া পুনর্গঠনে নারীদের অবদান রাখতে দিতে ইচ্ছুক প্রশাসন।
রাজধানী দামেস্কে রবিবার আল-জাজিরাকে সাক্ষাৎকারে আয়শা আরও বলেন, সিরীয় নারীদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে সম্পৃক্ত করতে এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে যোগ্যতাসম্পন্ন নারীদের নিয়োগ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অন্তর্বর্তী সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারে নারীবিষয়ক মন্ত্রী পদে আয়শা নিয়োগ পান গত শুক্রবার। নতুন প্রশাসনে নিয়োগ পাওয়া প্রথম নারী তিনি। এর আগে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে দাতব্য কাজে যুক্ত ছিলেন অধিকারকর্মী হিসেবে পরিচিত আয়শা। প্রতিবেশী তুরস্কে একটি সিরীয় শরণার্থীশিবিরেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন আয়শা আল ডিবস।
ধারণা করা হয়, বাশার আল-আসাদের আমলে বিনা বিচারে হাজার হাজার মানুষকে কারাগারগুলোয় বন্দী রাখা হয়েছিল, যাদের মধ্যে অসংখ্য নারীও রয়েছেন। আসাদের পতনের পর কারাগারগুলো থেকে বিদ্রোহী যোদ্ধা বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়।
আয়শা আল-ডিবস বলেন, নারী বন্দীদের পুনর্বাসনের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে। তাদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও আইনি সুরক্ষা প্রয়োজন। কারাগারগুলোতে বন্দী নির্যাতনে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে বন্দি নারীদের মনস্তাত্ত্বিক সহায়তার প্রয়োজন, যাতে কারা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিতে পারেন তারা।
ঠিকানা/এসআর