Thikana News
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সিলেটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে হারিছ চৌধুরীর মরদেহ

সিলেটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে হারিছ চৌধুরীর মরদেহ ছবি সংগৃহীত
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় নিজ এলাকার শফিকুল হক চৌধুরী মেমোরিয়াল এতিমখানার পাশেই পুনরায় দাফন করা হবে বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব আবুল হারিছ চৌধুরীর মরদেহ।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাজরিনের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিনিধি দল। এ সময় হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী এবং তার আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়ছল আহমদ, স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

হারিছ চৌধুরীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার বাবা শফিকুল হক চৌধুরীর নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত শফিকুল হক চৌধুরী মেমোরিয়াল এতিমখানা প্রাঙ্গণে তার মরদেহ পুনরায় দাফন করা হবে। সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর চলতি মাসে দাফনকাজ সম্পন্ন হতে পারে বলে জানা গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরিন জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধার সম্মাননায় কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম হারিছ চৌধুরীর লাশ তার পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাফন করা হবে। কবরের জায়গার স্থান সেভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা চৌধুরী বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমরা নানাভাবে অবিচারসহ হয়রানির শিকার হয়েছি। আমার বাবা মারা যাওয়ার পরও সে সময় সরকারকে জানিয়ে কোনো প্রতিকার পাইনি। উল্টো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি এবং তার মৃত্যুর বিষয়টি অমীমাংসিত থেকে যায়। আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে বাবার লাশ শনাক্ত করে তার ইচ্ছা অনুযায়ী কানাইঘাটে দাফন করতে পারব, যার জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।’

এদিকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আবুল হারিছ চৌধুরী মারা যান। ৪ সেপ্টেম্বর প্রফেসর মাহমুদুর রহমান নামে ঢাকার সাভারে একটি মাদ্রাসায় তার লাশ দাফন করা হয়। এরপর সামিরা চৌধুরী প্রফেসর মাহমুদুর রহমানই তার বাবা হারিছ চৌধুরী দাবি করে লাশের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন। পরে আদালতের নির্দেশে তার লাশ কবর থেকে তোলা হয়। এরপর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। বর্তমানে তার লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স