যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পোশাকের ব্যাপক দরপতন হয়েছে। কটন ওভেন ট্রাউজার থেকে শুরু করে টি-শার্টেও দরপতন হয়েছে। প্রতিটি পণ্যে ৪ শতাংশ থেকে শুরু করে কোনো কোনো পণ্যের দাম ৮ শতাংশের মতো কমেছে। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে পোশাক পণ্যের দামে এমন পতন ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড গার্মেন্টসের (ওটেক্সার) এক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ওটেক্সার তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পুরুষের কটন ওভেন ট্রাউজারের দাম কমেছে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ। একই সময়ে নারীদের কটন ওভেন ট্রাউজারের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ, পুরুষের কটন ওভেন শার্টের দাম কমেছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ, কটন নিট সোয়েটারে ৭ শতাংশ ও কটন নিট টি-শার্টে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ দাম কমেছে।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, শ্রমিকের মজুরি, মূল্যস্ফীতিসহ পোশাকের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। অথচ ক্রেতারা আমাদের ন্যায্য মূল্য দিচ্ছে না। উপরন্তু বিশ্বব্যাপী পোশাকের দাম কমেছে। প্রতিযোগী রপ্তানিকারকরাও প্রতিযোগতা বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ক্রেতারা এমনিতেই দাম কম দিতে চায়। সেখানে অনেক সময় আমাদের সক্ষমতা পরিপূর্ণ করতে গিয়ে প্রতিযোগিতার নামে নিজেরাও দাম কমিয়ে দিচ্ছি।
এদিকে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে যেখানে ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, সেখানে চলতি বছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৬ দশমিক ১ বিলিয় ডলার। অর্থাৎ দেশটিতে চলতি বছর গেল বছরের চেয়ে পোশাক রপ্তানি কম হয়েছে ২১২ মিলিয়ন ডলার।
ঠিকানা/এনআই