ক্ষমতাচ্যুত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ, যিনি ২৪ বছর ধরে দেশ শাসন করেছেন, গত ৮ ডিসেম্বর (রবিবার) ইসলামপন্থী বিদ্রোহী বাহিনীর আক্রমণে ক্ষমতা হারান। তার বাবা হাফেজ আল-আসাদও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ৩০ বছর। আসাদের পতনের পর বিদ্রোহীরা সরকার গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে।আসাদ এবং তার পরিবার এখন রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু আসাদ পরিবারের ভবিষ্যৎ এখন সম্পূর্ণ অনিশ্চিত।
রাশিয়া ছিল আসাদের প্রধান মিত্র শক্তি, বিশেষ করে ২০১৫ সালে যখন রাশিয়া সিরিয়ায় বিমান হামলা শুরু করে এবং আসাদ সরকারের পক্ষে পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়। তবে, রাশিয়া এখন ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সিরিয়ার পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করতে সক্ষম হয়নি।চলতি ডিসেম্বরে বিদ্রোহীরা দামেস্ক দখল করলে আসাদ তার পরিবারসহ রাশিয়া চলে যান। রাশিয়া তাদের আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দেয়, তবে রাশিয়ার সরকার এখনও এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলেনি।
বাশার আল-আসাদ এবং তার স্ত্রী আসমা আল-আসাদ, যারা ব্রিটিশ-সিরিয়ান নাগরিক, বর্তমানে রাশিয়ায় রয়েছেন। তাদের তিনটি সন্তান—হাফেজ, জেইন এবং করিম— রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। আসাদ পরিবার রাশিয়ায় গোপনীয়তার মধ্যে অবস্থান করছে, এবং তাদের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও তদন্ত চলছে।
ক্ষমতাচ্যুত আসাদ এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ফ্রান্সের বিচারকরা আসাদকে ২০১৩ সালের রাসায়নিক হামলার জন্য তদন্ত এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রচেষ্টা চলছে। তবে, রাশিয়া তার নাগরিকদের প্রত্যর্পণ করে না, ফলে আসাদকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা বা আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার সম্ভাবনা কম। তবে, বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আসাদের বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে চায়।
আসাদ পরিবার এখন রাশিয়ায়, কিন্তু তাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-সিরিয়া সম্পর্কের উপর। ভবিষ্যতে আসাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, তবে তা একেবারে অনিশ্চিত। তথ্যসূত্র : বিবিসি
ঠিকানা/এএস