ক্যানসার নামের মরণব্যাধির নাম শুনলেই সবাই আঁতকে ওঠে। পুরো পৃথিবীর বহু মানুষ এই রোগের শিকার। একটা পুরো পরিবার ধ্বংস হতে পারে এই রোগের চিকিৎসায়। অনেক সময় সর্বস্ব দিয়ে চিকিৎসা করলেও রোগীকে বাঁচানো যায় না। এই ক্যানসার কোষ শরীরের বিভিন্ন জায়গাকে আক্রান্ত করে। এর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ক্যানসার হলো ফুসফুস ক্যানসার। ফুসফুসে ক্যানসার কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পাওয়া থেকেই এই রোগের সূত্রপাত। মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে ফুসফুস ক্যানসারের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। মহিলারাও যে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হন না, এমনটা নয়।
তবে ঠিক সময়ে এই ক্যানসার ধরা পড়লে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব। কিন্তু কী করে বুঝবেন শরীরে বাসা বেঁধেছে এই ক্যানসার? তার জন্য এর কিছু সাধারণ লক্ষণ জেনে রাখা ভালো।
দীর্ঘ সময় কাশি
ফুসফুসের ক্যানসারের প্রথম লক্ষণ বা উপসর্গ হলো রোগীর কাশি এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া। কাশি দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হতে পারে এবং অনেক সময় কাশির সঙ্গে রক্তপাতও হতে পারে।
নিঃশ্বাসের দুর্বলতা
ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রে রোগীর কাশির সঙ্গে শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, তীব্র শ্বাসকষ্টও হতে পারে এবং শ্বাস নেওয়ার সময় বুকে উত্তেজনা অনুভব করতে পারেন।
বুকে ব্যথা
ফুসফুসের ক্যানসারের লক্ষণগুলোর মধ্যে বুকে ব্যথাও রয়েছে। এই মারণ রোগ বাসা বাঁধলে রোগীর কাশিসহ ক্রমাগত বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় ব্যথার তীব্রতা ভয়ংকর রূপ নেয়।
ওজন বৃদ্ধি বা ওজন হ্রাস
ফুসফুসের ক্যানসারে রোগীর ওজন হয় দ্রুত বাড়তে পারে, না হয় কমতে পারে। অনেক সময়ই ওজন বাড়া বা কমাকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এমনটা করলে বিপদ! তাই কারণ ছাড়া ওজন বাড়লে বা কমলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
জিভে ব্যথা এবং গলায় পিণ্ড
ফুসফুসের ক্যানসারের কিছু ক্ষেত্রে রোগীদের জিভের নিচে ব্যথা হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, ফুসফুসের ক্যানসারের কারণে কিছু রোগীর গলার ভেতরে পিণ্ড হতে পারে। সেখানেও ব্যথা অনুভূত হয়।
ঠিকানা/এনআই