আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি বিস্ফোরণে তালেবানের শরণার্থী মন্ত্রী খলিল রহমান হাক্কানিসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। হাক্কানির মৃত্যুর খবরটি তার ভাতিজা নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তালেবান সরকারের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে এই হামলার জন্য ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) দায়ী করেছেন। তবে ওই গোষ্ঠী তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি।
২০২১ সালে বিদেশি সেনারা আফগানিস্তান ত্যাগ করলে খলিল হাক্কানি তালেবানের অন্তর্বর্তী সরকারে মন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন। তিনি হাক্কানি নেটওয়ার্কের একজন উচ্চপদস্থ নেতা ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্যমতে, আফগানিস্তানে মার্কিন অবস্থানের ২০ বছরে অনেক বড় বড় হামলার জন্য দায়ী ছিলেন হাক্কানি।
খলিল হাক্কানির ভাতিজা আনাস হাক্কানি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা একজন খুবই সাহসী মুজাহিদকে হারিয়েছি। আমরা তাকে এবং তার ত্যাগকে কখনোই ভুলব না।’
আনাস জানান, খলিল হাক্কানি বিকেলের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এক বিবৃতিতে এই হামলায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের সব ধরনের রূপ ও প্রকাশে দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা জানায়।’
২০২১ সালে বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহারের পর তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং নিরাপত্তা পুনঃস্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে শহুরে এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি বিস্ফোরণে চারজন নিহত হন। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন হাক্কানি নেটওয়ার্কের অপর নেতা সিরাজউদ্দিন হাক্কানি।
২০২৩ সালে ইসলামিক স্টেট তালেবান পরিচালিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাইরে একটি হামলার দায় স্বীকার করেছিল। ওই হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে খলিল হাক্কানিকে ‘গ্লোবাল টেররিস্ট’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাকে গ্রেপ্তারে তথ্য সরবরাহের জন্য ৫০ লাখ ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
তালেবান সদস্যদের মতে, খলিল রহমান হাক্কানির বয়স ছিল ৫০-এর কাছাকাছি।
ঠিকানা/এনআই