পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ আগামী ৯ আগস্ট দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ৩ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সংসদীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেন তিনি। এদিন নেতাদের জন্য সৌজন্য নৈশভোজের আয়োজন করেন শেহবাজ।
পাক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, নৈশভোজে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সংসদীয় নেতাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন তিনি।
এছাড়া বৈঠকে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও সরকার ব্যবস্থা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
আগামী ৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে প্রেসিডেন্টের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠাবেন। সংবিধান অনুযায়ী, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রেসিডেন্টকে এ প্রস্তাবে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রেসিডেন্ট যদি এ সময়ের মধ্যে এতে স্বাক্ষর না করেন তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পার্লামেন্ট ভেঙে যাবে। এরপর দায়িত্ব নেবেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী।
অন্তবর্তীকালীন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সে বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে তিন দিন আলোচনা করবেন শেহবাজ শরীফ। এরপর তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করে সেটি প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠাবেন।
সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন আরও জানিয়েছে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিয়ে ঐক্যমতে না পৌঁছাতে পারে তাহলে নির্বাচন কমিশন এতে হস্তক্ষেপ করবে এবং প্রস্তাবিত নাম থেকে একজনকে মনোনয়ন দেবে।
এদিকে কয়েকদিন আগে এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছিলেন শেহবাজ শরীফ। ওই সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এমন সুযোগ নেই। তবে বিষয়টি পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের ওপর নির্ভর করছে। সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
ঠিকানা/এসআর