Thikana News
৩১ অক্টোবর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫


ইনকাম ট্যাক্স প্রিপেয়ারার পছন্দ করবেন যেভাবে

ইনকাম ট্যাক্স প্রিপেয়ারার পছন্দ করবেন যেভাবে সংগৃহীত ছবি



 
প্রতিবছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নতুন নতুন মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। এর মধ্যে একটি বড় অংশ আসেন ইমিগ্র্যান্ট হয়েছে। আবার কেউ কেউ আছেন, যারা এখানে আসার পর স্ট্যাটাস অ্যাডজাস্ট করে ইমিগ্র্যান্ট হন। কেউ কেউ আসেন স্টুডেন্ট হয়ে, কেউ চাকরি নিয়ে। আবার কেউ ইমিগ্র্যান্ট না হতে পারলেও সোশ্যাল ও ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বছরের পর বছর থাকেন। যাদের এখানে থাকার বৈধ অনুমতি রয়েছে, তাদেরকে ট্যাক্স ফাইল করতে হবে। আবার কেউ কেউ আছেন বৈধ স্ট্যাটাস নেই কিন্তু ইনকাম আছে, তারাও অনেকেই ট্যাক্স ফাইল করেন। এখানে যে যেভাবেই আসেন না কেন, ইনকাম থাকলে তাদেরকে ট্যাক্স ফাইল করতে হবে। যারা কর দেওয়ার যোগ্য, তারা কর দেবেন। যারা রিফান্ড পাওয়ার যোগ্য, তারা রিফান্ড পাবেন। অনেকেই নতুন আসার পর বুঝতে পারেন না ঠিক কাকে দিয়ে ট্যাক্স ফাইল করাবেন। ট্যাক্স ফাইল করানোর জন্য এনরোল এজেন্ট ও সিপিএদের ফি একটু বেশি। অনেকে এ জন্য তাদের কাছে যেতে চান না। কেউ কেউ ৫০ ডলার ফি দিয়েও ফাইল করান। অনেক সময় সঠিকভাবে ট্যাক্স বিশেষজ্ঞ বাছাই করতে না পারার কারণে ট্যাক্স ফাইল নিয়ে অনেকেই অনেক ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন। কেউ কেউ বেশি রিফান্ড পাওয়ার লোভেও ট্যাক্স ফাইল করান কম জানা ব্যক্তিকে দিয়ে। পরে ফাইল অডিটে পড়ার কারণে হাজার হাজার ডলার জরিমানা দিয়েছেন, এমন ব্যক্তির সংখ্যাও কম নয়। ট্যাক্সের নিয়ম হলো আপনি যদি সরকারের প্রাপ্য কর না দেন, তাহলে আপনার বিষয়টি যখনই কর ফাঁকি হিসেবে ধরা পড়বে, তখনই আপনার কাছে পাওনা কর, সুদ ও জরিমানাসহ ফেরত দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে জরিমানা ও মূল অর্থের মওকুফ খুব একটা হয় না। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, যখনই আপনি নতুন ট্যাক্স ফাইল করা শুরু করবেন, একজন বিশেষজ্ঞকে দিয়ে তা করাবেন।
এ বিষয়ে জাকির সিপিএ পিএলএলসির প্রেসিডেন্ট ও সিইও জাকির চৌধুরী বলেন, যারা এ দেশে নতুন আসেন, তারা অনেকেই ট্যাক্স ফাইলের নিয়মকানুন পুরোপুরি জানেন না। এ দেশে তিন ধরনের ব্যক্তি রয়েছেন, যারা ট্যাক্স ফাইল নিয়ে কাজ করেন। তারা হলেন ট্যাক্স প্রিপেয়ারার, আইআরএসের এনরোল এজেন্ট এবং সিপিএ। যারা সিপিএ, তারা তারা ট্যাক্স-সংক্রান্ত সব বিষয়ে কাজ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে একজন সিপিএকে বেছে নেওয়া সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
সিপিএ জাকির চৌধুরী বলেন, ট্যাক্স প্রিপেয়ারার অনেকেই হতে পারেন। এ জন্য যোগ্যতা হলো হাইস্কুল ডিপ্লোমা থাকতে হবে অথবা জিইডি থাকতে হবে। বয়স হতে হবে ১৮ বছর। ট্যাক্স ফাইল করার যোগ্যতা থাকতে হবে। সে জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ট্যাক্স বিষয়ের ওপর ৪-৫ মাসের কোর্স করতে হবে। কেউ কেউ এমন কোর্স করে সহজ পেশা হিসেবে এটিকে বেছে নেন। তাদের অনেকেরই অফিস আছে আবার অনেকেরই অফিস নেই। কেউ কেউ মৌসুমি হিসেবে ফাইল করেন। তাদেরকে বেশির ভাগ সময় পাওয়া যায় না। যারা এমন মানুষকে দিয়ে ফাইল করান, তারা অনেক সময় ঝামেলায় পড়েন। বিশেষ করে, যখন কোনো ফাইল অডিটে পড়ে, তখন আর তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যায় না।
আর আছেন আইআরএসের এনরোল এজেন্ট। তারা ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং কলেজ গ্র্যাজুয়েটস। তারা আইআরএসে পরীক্ষা দিয়ে পাস করার পর এনরোল এজেন্ট হতে পারেন। তারা ট্যাক্স ফাইল করতে পারেন। আইআরএসের ট্যাক্স ফাইলে কোনো ঝামেলা হলে তারা কথা বলতে পারেন। তাদের দিয়ে ফাইল করালে কোনো সমস্যা নেই। তাদের অনেকেরই অফিস আছে। তারা সারা বছর অফিস খোলা রাখেন। তাদের মধ্যে অনেকেরই বেশ অভিজ্ঞতা রয়েছে। যারা বেশি অভিজ্ঞ, তাদেরকে দিয়ে ফাইল করলে নিখুঁতভাবে সেটি হবে। ভুলভ্রান্তি কম হবে।
জাকির চৌধুরী বলেন, আরেকটি গ্রুপে আছেন সিপিএ। সিপিএরা কলেজ থেকে ব্যাচেলর ও মাস্টার্স করা কিংবা এমবিএ করা অথবা ডাবল ব্যাচেলর করা। তাদেরকে কলেজ থেকে ১৫০ ক্রেডিট কমপ্লিট করতে হয়। এর মধ্যে তাদেরকে অবশ্যই ৩০ ক্রেডিট অ্যাকাউন্টিং থাকতে হবে। এই ক্রেডিটগুলো যেকোনো অ্যাক্রিডিটেড কলেজ থেকে পাস করে নিতে হয়। কমিউনিটি কলেজ, ফোর ইয়ার কলেজ, ইউনিভার্সিটি যেকোনো জায়গা থেকে হতে পারে। এরপর তিনি সিপিএ পরীক্ষা দেবেন। সিপিএর জন্য চারটি পরীক্ষা দিতে হয়। সেসব পরীক্ষায় তাকে পাস করতে হবে। পাস করার পর এক বছর কোনো সিপিএর অধীনে কাজ করতে হবে। তারা অনেক অভিজ্ঞ। সিপিএ হলে সুবিধা হলো তারা ট্যাক্স ফাইল করার পাশাপাশি অডিটসহ সব ধরনের বিষয়ে কাজ করতে পারেন। এ ছাড়া আপিলসহ যেকোনো ধরনের ট্যাক্সের জটিলতা নিরসন করতে কাজ করতে পারেন। তাদেরকে দিয়ে ফাইল করালে ফি একটু বেশি হলেও ভবিষ্যতের জন্য নিশ্চিত। তাই কম টাকা দিয়ে মৌসুমি কাউকে দিয়ে ফাইল করানো ঠিক হবে না।
সিপিএ জাকির চৌধুরী বলেন, যারা এ দেশে নতুন আসেন, তারা অত্যন্ত পরিকিল্পতভাবে নিজের ট্যাক্স ফাইলটি করার জন্য অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। সেই হিসেবে আপনার ট্যাক্স প্রিপেয়ারার নির্বাচন করুন। কারণ তিনি আপনার আয়-ব্যয় সংক্রান্ত, কোম্পানি প্রতিষ্ঠা, এর ট্যাক্স ফাইল করাসহ সবকিছু করতে পারবেন। সম্পত্তি কেনা, লোন পাওয়া এবং সম্পত্তি কেনার পর ট্যাক্স-সংক্রান্ত বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রেও সিপিএরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, অনেক এনরোল এজেন্টও ভালো কাজ করেন। কেউ চাইলে তাদের কাছেও যেতে পারেন। তবে যারা জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত মৌসুমি ট্যাক্স ফাইল করেন, তাদের কাছে কখনোই যাওয়া যাবে না। কারণ তাদেরকে পরবর্তী সময়ে ট্যাক্স ফাইল নিয়ে সমস্যা হলে অথবা অডিটে পড়লে তখন খুঁজে পাওয়া যায় না। সেই সময় অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়।

কমেন্ট বক্স