পিছু ফিরে দেখি; কতটা সময় অলক্ষ্যে হয়েছে গত,
পাহাড়ে গড়ানো পাথরের মতো; নদীর স্রোতের মতো।
রাস্তায় যারা কলকাকলিতে হাঁটে না তো! উড়ে যায়-
হাসি কলরবে; মায়ামাখা সব মুখে যেন উপচায়-
প্রাণ প্রাচুর্য। তাদের বুকে যা; মনে হয় আমা হতে-
খসে পড়া যত; জীবনের রস, পেছনের ঢেউ স্রোতে-
তারা বয়ে নিয়ে চলিছে অজানে; দিকে দিকে মহাকালে,
ও মুখগুলোতে নিজেকেই দেখি; নবায়িত হাল সালে।
সময় আঘাতে; বিক্ষত যত টুকরো টুকরো আমি,
প্রতিক্ষত হতে চারা কুঁড়ি ওরা-নিত্য সালতামামি!
যেন কিছু ঝরে যায়নি আদপে-জীবনপ্রবাহ থেকে,
ক্ষতের উপরে উপশম হয়ে; আবরণে রাখে ঢেকে।
কোন মুখে দেখি অবিকল ছায়া-আমার মুখের মতো,
ফ্ল্যাশব্যাকে ভাসে পুরাতন স্মৃতি; যত হয়ে গেছে গত।
স্মৃতি কাঁপে; নাচে-দূরে ভাসা কোনো আলেয়ার আলো মতো,
দেখি যেন; আমি নিজেকে ছাপিয়েÑদূরে যেতে উদ্যত।
মনে হয়; যেন আমার জীবনকাহিনির বায়োপিক,
সিনেমার হলে চলে-আহা! কী যে ক্ল্যাসিক; নান্দনিক!
অভিনেতা; শ্রোতা, দর্শক-নিজে, আসনসংখ্যা এক,
ঘটনাপ্রবাহে বারে বারে দেখি-জীবনের ফ্ল্যাশব্যাক।
আলো নিভে যায়; আমি থাকি না তো-ছবিটি চলতে থাকে,
পর্দায় আসে নয়া অভিনেতা; নিজ নিজ বায়োপিকে।