বিশ্বের রাজধানীখ্যাত নিউইয়র্কে বসবাসরত শত সংস্কৃতির মানুষের ভীড় ঠেলে বেরিয়ে এলেন একদল নারী-পুরুষ-শিশু, যারা পাশ্চাত্য ধাঁচ ঝেড়ে ফেলে নিজেদের হাজার বছরের ঐতিহ্যকে সঙ্গী করে একে একে প্রবেশ করছেন পার্কে। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীদের বাহারি বেশ আর হই-হুল্লোরে করোনা পার্কের পরিবেশ হয়ে ওঠে আরো মোহনীয়।

আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে বনভোজনের উদ্দেশ্য যে কেবল ভোজনই নয়, তা প্রমাণিত হয় বনভোজনে আসা কুলাউড়াবাসীর একে অপরের সঙ্গে সুখ-দুঃখের আলাপন, স্মৃতিচারণ আর আড্ডায়। প্রায় সহস্রাধিক নর-নারীর স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে করোনা পার্কটি যেনো রূপ নেয় নিউইয়র্কের বুকে এক খণ্ড কুলাউড়ায়। মূলত নিজ এলাকার প্রবাসীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো দৃঢ় ও শক্তিশালী করার প্রত্যয় নিয়ে সংগঠনটি এই মিলনমেলার আয়োজন করে। শিশু-কিশোরদের বাঁধভাঙা আনন্দ-উল্লাস, আর বড়দের দেশীয় আবেগ, অনুভূতি ও উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে আয়োজকদের এই আয়োজন শতভাগ স্বার্থক হয়েছে বলে উপস্থিত অনেকেই মত প্রকাশ করেন।
শুরুতেই কুলাউড়া বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন অব ইউএসএ ইনক-এর সভাপতি শাহ আলাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমেদ এবং কার্যকরী কমিটির কর্মকর্তারা আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানান।
দিনব্যাপী বনভোজনে পরিবেশন করা হয় সুস্বাদু ও রকমারি সব খাবার, খেলাধুলা, ফুটবল প্রতিযোগিতা, পিলো পাসিং ও আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্রসহ নানান আয়োজন।
বিকেলে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের নবনির্বাচিত সভাপতি শাহ আলাউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন, প্রবীণ রাজনীতিবিদ লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল খান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল মুয়ীত চৌধুরী, আনোয়ারুল হক লাভলু, গিয়াস উদ্দিন, ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম বাবলা, হাফিজ মো. জমশেদ আহমদ, মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলুর রহমান, শ্রীমঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মামুনূর রশীদ শিপু, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিসবাহ মজিদ, আব্দুর রব, মুক্তাদির তোফায়েল, সৈয়দ জুবায়ের আলী, জাবেদ উদ্দিন, গোলাম মোদাব্বীর চৌধুরী, সৈয়দ রুহুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল হক, আবুল কালাম, আব্দুস সালাম, মোশাহেদ জে রাশেদ, সিরাজউদ্দিন আহমেদ সোহাগ, তজমুল আলী, এএম চৌধুরী শফি, নজরুল ইসলাম ফারুক, ফারুক আহমেদ, শাহেদ দেলওয়ার চৌধুরী, রাশেদুল মান্নান চৌধুরী, সৈয়দ ইলিয়াস খসরু, জামাল উদ্দিন লিটন প্রমুখ।
বনভোজনে ছিল আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র। পুরস্কারের মধ্যে ছিল - আইফোন, সোনার চেইন, ব্রেসলেট, ল্যাপটপ, আইপ্যাড, ফ্যামেলি ওয়াচ, এয়ারপড, ডেস্ক প্রিন্টার ও এয়ার ফ্রায়ার।
অনুষ্ঠানে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন নিউইয়র্কের জনপ্রিয় শিল্পীরা।
সবশেষে সভাপতি শাহ আলাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমেদ বনভোজনে অংশগ্রহণকারী অতিথিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়ে বনভোজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
 
  
 

 ঠিকানা রিপোর্ট
 ঠিকানা রিপোর্ট  
                                
 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                
