Thikana News
২৩ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

অনলাইনে নিরাপদ থাকতে নিতে হবে যেসব পদক্ষেপ

অনলাইনে নিরাপদ থাকতে নিতে হবে যেসব পদক্ষেপ
অনলাইনে অনেকেই অনেক ধরনের হিসাব খোলেন। কিন্তু যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন না। এতে তারা অনলাইনে প্রতারণার শিকার হয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। 
কেউ যাতে অনলাইনে কোনো ধরনের প্রতারণার শিকার বা বিড়ম্বনার সম্মুখীন না হন, সে জন্য আগামী ট্যাক্স সিজন শুরু হওয়ার আগেই আইআরএস থেকে সতর্ক করা হচ্ছে।
সম্প্রতি শেষ হয়েছে জাতীয় সাইবার সিকিউরিটি সচেতনতা মাস এবং পরবর্তী কর মৌসুমের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। অভ্যন্তরীণ রাজস্ব পরিষেবা এবং এর নিরাপত্তা সামিট অংশীদাররা বলেছেন, করদাতাদের পরিচয় চুরি এবং জালিয়াতির মতো অনলাইন হুমকি থেকে সতর্ক থাকতে হবে। এ জন্য কী করতে হবে, তাও উল্লেখ করেছেন তারা।
বলা হচ্ছে, অনলাইনে কেনাকাটা করা হোক বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজ করা হোক, অনলাইন নিরাপত্তার সঙ্গে অপরিচিত লোকেরা নিজেদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। লোকেদের ব্যক্তিগত তথ্য সোয়াইপ করতে আগ্রহী প্রতারকদের জন্য সুযোগ খুলে দিতে পারে এবং এতে করে নিজেদেরকে ট্যাক্স-সম্পর্কিত পরিচয় চুরির ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে।
আইআরএস এবং সিকিউরিটি সামিট করদাতাদের সতর্ক করে। তারা বলছে, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের কীভাবে অনলাইন স্ক্যাম চিনতে ও এড়াতে হয় এবং তাদের শিকারে পড়ার বা অজান্তে তাদের পরিবারের পরিচয় চুরি ও ট্যাক্স জালিয়াতির শঙ্কা কীভাবে কমাতে পারে, তা শেখানো দরকার।
পাবলিক-প্রাইভেট সেক্টর অংশীদারিত্ব প্রত্যেককে অনলাইনে যেসব নিরাপত্তা দুর্বলতার সম্মুখীন হয়, সে সম্পর্কে সচেতন হতে এবং অক্টোবরের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সচেতনতা মাস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের কাছে এ-সংক্রান্ত বিস্তৃত তথ্য রয়েছে। সেগুলো দেখা যেতে পারে। সিকিউরিটি সামিটের সদস্যরা একটি জোট, যাতে ট্যাক্স সফ্টওয়্যার এবং আর্থিক কোম্পানি, ট্যাক্স পেশাদার, রাষ্ট্রীয় কর প্রশাসক ও আইআরএস অন্তর্ভুক্ত থাকে। এ ছাড়া ট্যাক্স-সম্পর্কিত পরিচয় চুরি থেকে করদাতাদের রক্ষা করার জন্য একাধিক অনলাইন নিরাপত্তা সুপারিশ অফার করে। এর মধ্যে যেটি ভালো, সেটি নেওয়া যেতে পারে।
অনলাইন নিরাপত্তা টিপস সাইবার নিরাপত্তা আক্রমণ থেকে রক্ষা করার বিকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে : স্ক্যাম চিনতে হবে এবং ফিশিং রিপোর্ট করতে হবে। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, আইআরএস ব্যক্তিগত ট্যাক্স-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য অযাচিত ইমেইল ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে না। যেমন ট্যাক্স রিফান্ড, পেমেন্ট বা ট্যাক্স বিল- এগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা করে না। যদি কেউ এমন কিছু করে, তাহলে ওই ধরনের ইমেইলের কোনো উত্তর দেওয়া যাবে না। কেউ অ্যাটাচমেন্ট খুলতে কিংবা লিঙ্কে ক্লিক করতে বললে সেটা করা যাবে না। ফিশিং রিপোর্ট করার জন্য সম্পূর্ণ ইমেইল হেডার পাঠান বা ইমেইলটি phishing@irs.gov-এ ফরওয়ার্ড করতে হবে। ইমেইলের স্ক্রিনশট বা স্ক্যান করা ছবি ফরোয়ার্ড করবেন না। রিপোর্ট করার পর ইমেইল মুছে দিন।
ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করতে হবে। এটি করতে হলে অনলাইনে খুব বেশি ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। জন্মতারিখ, ঠিকানা, বয়স এবং আর্থিক তথ্য, যেমন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও স্যোশাল সিকিউরিটি নম্বর অবাধে শেয়ার করা উচিত নয়। কম্পিউটারে সংরক্ষিত ট্যাক্স রেকর্ডের মতো সংবেদনশীল ফাইল এনক্রিপ্ট করতে হবে। সব সময় শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করার জন্য একটি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সেখানে পাসওয়ার্ড লিখে রাখা যাবে না।
মাল্টি-ফ্যাক্টর পদ্ধতিতে অনলাইন অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য এটি ব্যবহার করতে হবে। কম্পিউটার এবং ফোন সফ্টওয়্যার ব্যবহার ও আপডেট করতে হবে। অ্যান্টি-ভাইরাস এবং ফায়ারওয়াল সুরক্ষাসহ গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা আপডেট ইনস্টল করতে স্বয়ংক্রিয় আপডেট সক্ষম করতে হবে। নিরাপত্তার জন্য একটি ভিপিএন ব্যবহার করতে হবে। অপরাধীরা অনিরাপদ পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে ব্যক্তিগত তথ্য নিতে পারে। এ কারণে সর্বজনীন ওয়াইফাইয়ের সঙ্গে সংযোগ করার সময় ব্যক্তিদের সর্বদা একটি ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা হয়।

 

কমেন্ট বক্স