Thikana News
২১ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সাধারণ উপায়

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সাধারণ উপায়
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চা ও মানসিক চাপ কমানোর কৌশল একসঙ্গে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

এই বিষয়ে হেল্থশটস ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নয়া দিল্লির ‘আকাশ হেল্থকেয়ার’য়ের ইন্টারনাল মেডিসিনের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. রাকেশ পন্ডিত বলেন, “ডায়াবেটিস একটা দীর্ঘমেয়াদী অবস্থা যেখানে ওষুধের চেয়ে জীবনযাত্রা ও নিজের পরিচর্যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”

তবে জীবনযাত্রায় কোনো পরিবর্তন আনার আগে পেশাদার স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। অপ্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি কম পরিশোধিত শর্করা ও কার্বোহাইড্রেইট ধরনের শস্য গ্রহণে সচেতন থাকতে হবে।

নানান রকম ফল, সবজি, শস্য, চর্বিহীন মাংস ও স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়া জরুরি। সেই সাথে প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি পানীয় ও উচ্চ চর্বি সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলা উপকারী।

এছাড়াও খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

নিয়মিত শরীরচর্চা করা: ডায়াবেটিকদের জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করা উপকারী। এতে ইন্সুলিনের সংবেদনশীলতা নিয়ন্ত্রণে থাকে, রক্তের শর্করারা মাত্রা কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি অ্যারোবিক ব্যায়াম, যেমন- হাঁটা, সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানো উপকারী। এছাড়াও শক্তি বর্ধক ব্যায়াম থেকে শুরু করে পেশি গঠনমূলক ব্যায়াম সার্বিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। 

ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন বেশি বা স্থূলকায় হলে সামান্যতম ওজন হ্রাস রক্তের শর্করা ও ইন্সুলিনের সংবেদনশীলতা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়। স্বাস্থ্যকর ওজন নিয়ন্ত্রণে সুষম খাবার ও নিয়মিত শরীত শরীরচর্চা ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণে সতর্কতা: কার্বোহাইড্রেইট সরাসরি রক্তের শর্করার ওপরে প্রভাব ফেলে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সমৃদ্ধ খাবার যেমন- গোটা শস্য, ডাল, সবজি ও শ্বেতসার কম এমন সবজির মতো জটিল কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণ সারা দিন দেহে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়তে সহায়তা করে।

পরিমিত খাবার গ্রহণ রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে উপকারী।

চাপ নিয়ন্ত্রণ: মানসিক চাপ রক্তের শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করে যা হরমোনের প্রতিক্রিয়া বাড়িয়ে গ্লুকোজের উৎপাদন বাড়ায়। চাপ নিয়ন্ত্রণ কৌশল মেনে চলা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ধ্যান, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস অনুশীলন, যোগ ব্যায়াম-সহ পছন্দের শরীচর্চা করা প্রয়োজন। এছাড়াও বিশ্রাম ও কর্মজীবনের ভারসাম্য রক্ষা করা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

আর্দ্র থাকা: সঠিক আর্দ্রতা রক্ষা সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। পর্যাপ্ত পানি পান দেহের পানিশূন্যতা কমায়, কিডনি বা বৃক্ক সক্রিয় রাখে। আর রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

দিনে কমপক্ষে আট কাপ পানি পান করা দেহের প্রয়োজন মেটাতে ও সক্রিয় রাখতে পারে।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স