২০২৪-এর একেবারে শেষ প্রান্তে এসে মন খারাপ করা খবর শোনালেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী এ আর রহমান। দীর্ঘ ২৯ বছরের সংসার ভাঙছে অস্কারজয়ী এই শিল্পীর। এ আর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সায়রার বিচ্ছেদের খবর শুনে হতবাক অনুরাগীরা।
প্রায় তিন দশক দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন এ আর রহমানের স্ত্রী সায়রা বানু। সায়রার আইনজীবী বন্দনা শাহ ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে এই দম্পতির বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের কথা জানান। তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেন।
সেই বিবৃতিতে বলা হয়, বিয়ের বহু বছর পর স্বামী এ আর রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সায়রা বানু। তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে মানসিক চাপের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। একে অপরের প্রতি তাঁদের গভীর ভালবাসা সত্ত্বেও, এই দম্পতি খেয়াল করেছেন তাঁদের মধ্যে অনেক ব্যবধান, দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যা এই মুহুর্তে কোনো পক্ষই পূরণ করতে সক্ষম নয় বলে মনে করছেন তাঁরা।
মিসেস সায়রা বানু জানান, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া তাঁর পক্ষে মোটেও সহজ ছিল না। অনেক ব্যথা ও যন্ত্রণা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সায়রা বানু জানিয়েছেন, এই কঠিন সময়ে সকলের কাছে গোপনীয়তা রক্ষার এবং তাঁদেরকে একান্তে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন সায়রা বানু।
১৯৯৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এ আর রহমান ও সায়রা বানু দম্পতি। তাঁদের তিন সন্তান খতিজা, রহিমা ও আমিন। এর আগে, সিমি গারেওয়ালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রহমান স্বীকার করে নিয়েছিলেন, তাঁর ও স্ত্রী সায়রার মধ্যে বেশকিছু সাংস্কৃতিক মত পার্থক্য রয়েছে। যদিও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তাঁরা বিষয়টি সামলে চলেন বলেও জানিয়েছিলেন রহমান।
রহমান এও জানিয়েছিলেন যে, সায়রা বানু তাঁর পছন্দ ছিলেন না। তবে সে সময় তিনিও বিয়ের জন্য মেয়েও খুঁজে পাচ্ছিলেন না। অগত্যা তাঁর যখন ২৯ বছর বয়স, তখন সংগীতশিল্পী তাঁর মাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন পাত্রী খুঁজে দেওয়ার জন্য। শেষপর্যন্ত সায়রা বানুর সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় রহমানের। সেই বিয়ের ২৯ বছর পর পথচলায় ইতি টানলেন রহমান ও সায়রা।
ঠিকানা/এসআর