দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম লুটের অস্ত্র কিনছে অপরাধীরা!। খবরে বলা হয়, থানা, পুলিশ ফাঁড়িসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ চিহ্নিত অপরাধীরা কিনছেন বলে আশঙ্কা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, সন্ত্রাসীদের হাতে আসা অস্ত্র দিয়ে নানা অপকর্ম হচ্ছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এমন শঙ্কা থেকে পুলিশে উদ্বেগ আছে।
১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির দিন থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের স্থাপনায় হামলা, কারাগারের অভ্যন্তরে বন্দিদের বিদ্রোহ, পালিয়ে যাওয়া ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ সময় ঢাকাসহ সারাদেশে পুলিশে ৪৬০টি থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে
তখন সারাদেশে ৫ হাজার ৭৪৯টি অস্ত্র ও ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬০৯ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। এছাড়া টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার গ্যাস ক্যানিস্টার, কালার স্মোক গ্রেনেড ও ওয়াকিটকি লুট হয়। এর মধ্যে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৮২ রাউন্ড গুলি ও অন্যান্য উপকরণ, ৪ হাজার ৩১৭টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ওই সময় থানা ও সরকারি স্থাপনার বাইরে ব্যক্তিগত অস্ত্র লুটের ঘটনাও ঘটে।
লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল, ফ্ল্যাশ ব্যাং গ্রেনেড, অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম, বেতার যোগাযোগের ডিভাইস ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ ৩২টি ভারী অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি।
এদিকে, ঢাকাসহ সারাদেশে অপরাধ আগের চেয়ে বেড়েছে। রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছিনতাই নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুআলোচনা হয়েছে।
সিঙ্গাপুরের নাগরিক দাবি করে সুরক্ষা চাইলেন এস আলম— আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর এটি। খবরে বলা হয়, নিজেকে সিঙ্গাপুরের নাগরিক দাবি করে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ চুক্তির আলোকে এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম তার বিনিয়োগের সুরক্ষা চেয়েছেন। সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিসি মামলা করতে পারেন। প্রয়োজনে অন্যান্য ব্যবস্থাও নেবে।
তাদের পক্ষে কুইন ইমানুয়েল উর্কুহার্ট অ্যান্ড সালিভান নামক এক আইনি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংককে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান মনসুর সম্প্রতি ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এস আলম গোষ্ঠী বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। ওই সাক্ষাৎকারের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে কুইন ইমানুয়েল উর্কুহার্ট অ্যান্ড সালিভান।
চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, আহসান মনসুর এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জনসমক্ষে ভিত্তিহীন ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তার এ বক্তব্য এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘ভীতি প্রদর্শনমূলক’। এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ভুল ও মানহানিকর।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তির অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মন্তব্য বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মন্তব্য হিসেবে গণ্য হবে। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের বিদেশি বেসরকারি আইন অনুসারে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে এস আলম ও তার পরিবারের অধিকার ও সুরক্ষা আছে।
আওয়ামী লীগ প্রশ্নে বিভক্ত অভ্যুত্থানের শরিকরা— সমকালের প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সাড়ে তিন মাসের মাথায় তার দল আওয়ামী লীগ নিয়ে অভ্যুত্থানের শরিকদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের একটি বক্তব্য ঘিরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ''আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দলকে আগামী নির্বাচনে চায় বিএনপি। '' এ নিয়েই অভ্যুথানের শক্তিগুলোর মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
যদিও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমকালকে বলেছেন, ভোটে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে বিএনপিকে জড়িয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য ঠিক নয়। আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে বিএনপি কখনোই সুপারিশ কিংবা প্রস্তাব দেয়নি।
এদিকে, গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচারের জন্য সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি নেতারা নমনীয়তা দেখালেও একবিন্দু ছাড় দিতে নারাজ ছাত্র নেতারা। তারা দলটিকে ভোটে আনতে নারাজ। এমনকি ভোটে আনার কথাকে-ও 'অপরাধ' মনে করছেন।
দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘আয়নাঘরের রূপকার ২২ কর্মকর্তা- পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। খবরে বলা হয়, গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে উচ্চপদস্থ বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে হাসিনা সরকারের প্রতাপশালী প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিজিএফআই) ও র্যা বে নিযুক্ত ছিলেন এমন কর্মকর্তাদের নাম রয়েছে। যাদের বেশির ভাগ আলোচিত ‘আয়নাঘর’-এর রূপকার হিসাবে চিহ্নিত। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশনেও জরুরি বার্তা পাঠাতে বলা হয়। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে পাঠানো চিঠিতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে ২২ জন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ১৮ নভেম্বর পাসপোর্ট অধিদপ্তরে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির অনুরোধ অনুযায়ী কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে গুমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। তদন্তের প্রয়োজনে বর্ণিত ব্যক্তিরা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন, সে লক্ষ্যে তাদের পাসপোর্ট বাতিলসহ পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
পাসপোর্ট বাতিলের জন্য পাঠানো তালিকার বেশির ভাগ কর্মকর্তা হাসিনা সরকারের সময় সামরিক বাহিনীতে প্রভাবশালী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। কয়েকজন ছিলেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) প্রধান। বাকিরা চাকরিজীবনে গোয়েন্দা সংস্থা এবং র্যা পিড অ্যাকশন ব্যটালিয়নের (র্যাব) বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।’
দৈনিক নয়াদিগন্তের আরেকটি শিরোনাম -ভারতকে অবশ্যই ফিরিয়ে দিতে হবে হাসিনাকে, দি হিন্দুর সাথে সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস। খবরে বলা হয়, ভারতে পালিয়ে গিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, বিচারের মুখোমুখি করতে হাসিনাকে অবশ্যই বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে হবে ভারতকে। হাসিনাকে ফিরিয়ে না দিলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে খুব একটা সুখের সম্পর্ক তৈরি হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। ঢাকায় নিজ বাসভবনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি হিন্দুর সাথে একান্ত ওই সাক্ষাৎকারে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস ভারতের সাথে সম্পর্ক এবং সংস্কারের পরিকল্পনার বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। দ্য হিন্দুর পক্ষে সাক্ষাৎকারটি নেন সাংবাদিক সুহাসিনী হায়দার। ড. ইউনূস তার সরকার গঠনের ১০০ দিনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলেন এবং উগ্রপন্থার উত্থান ও হিন্দু এবং অন্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোকে ‘প্রোপাগান্ডা’ বলে অভিহিত করেছেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা এবং অর্থনীতি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা এখনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করে যাচ্ছি, তবে আমি বলব না যে আমরা এখনই ‘এ’ গ্রেড পেয়েছি। অন্য ইস্যুতে বলব, অর্থনীতির ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন ‘এ-প্লাস’ কারণ আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে ছিন্নভিন্ন অর্থনীতি পেয়েছিলাম। সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছিল। দেশে উন্মত্ত ব্যাংকিং সিস্টেম ছিল। খারাপ ঋণ ছিল, ৬০ শতাংশ অপরিশোধিত ঋণ। বহু ব্যাংক একে অপরের সাথে কীভাবে লেনদেন করতে হয়, গ্রাহকদের সাথে কীভাবে আচরণ করতে হয়- ইত্যাদি যেন জানেই না। আমাদের প্রায় অকার্যকর একটি আর্থিক ব্যবস্থা ছিল। তাই সেখান থেকে, আমরা ব্যাংকিং সিস্টেমকে আবার কার্যকর করে এই পর্যায়ে এসেছি।
তিনি বলেন, যদিও অবস্থা এখনো নিখুঁত নয়, তবে অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা দায়িত্ব নেয়ার সাথে সাথে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেছে, কিন্তু এখন গত ১০০ দিন ধরে মাসে মাসে এটি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা আমাদের ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছি এবং এটি আমাদের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি উন্নত করেছে। আমরা মুদ্রাস্ফীতিকে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছি। সর্বোপরি, আমরা ব্যাপক বৈশ্বিক সমর্থন পেয়েছি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের সাথে ব্যবসা করছে, আমাদের আরো সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছে যাতে বিনিয়োগ আসে। আমি জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধানসহ অনেক সরকার প্রধানের সাথে দেখা করেছি। আরো অনেকের সাথে কথা হয়েছে যারা আমাদের আর্থিক সহায়তা এবং রাজনৈতিক সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমাদের এমন কর্মকর্তারা আছেন যারা বিনিয়োগকারীদের সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে প্রস্তুত যাতে তারা বাংলাদেশের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকা না পড়েন, ওয়ান-স্টপ পরিষেবা আছে যেখানে বিনিয়োগকারীরা তাদের কাজগুলো করতে পারেন। তাই আমি বলব বাংলাদেশ খুবই ইতিবাচক পথে এগোচ্ছে।
কোথাও কিছু একটা ষড়যন্ত্র চলছে: তারেক রহমান— প্রথম আলোর শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়, গতকাল ঢাকায় আয়োজিত এক কর্মশলায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এমন মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি তার বক্তব্যে 'ষড়যন্ত্রের বিষয়ে' নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। বলেছেন, ‘‘আমরা প্রায়ই বলি, ষড়যন্ত্র থেমে যায়নি। আপনারা নিশ্চয়ই গত কয়েক দিনের পত্র-পত্রিকার খবর থেকে বুঝতে পারছেন।...কোথাও কিছু একটা ষড়যন্ত্র চলছে। কাজেই জনগণকে সচেতন করতে হবে, জনগণকে পাশে রাখতে হবে, জনগণের পাশে থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেছেন, গণতান্ত্রিক সভ্য দেশে ভোটের মাধ্যমে জবাবদিহি তৈরি হয়। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যেকোনো মূল্যে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা বিএনপির প্রথম কাজ বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন তারেক রহমান।
তার মতে, ভোট প্রয়োগের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার শিরোনাম অসদাচরণের অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের তিন বিচারপতির পদত্যাগ। প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইকোর্টের তিনি বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, কাজী রেজা-উল হক ও এ কে এম জহিরুল হক পদত্যাগ করেছেন বলে তাতে বলা হয়েছে। অসদাচরণের অভিযোগে উনিশ সালের আগস্টে তাদেরকে বিচারকাজ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল।
তাদেরকে এমন সিদ্ধান্ত জানানোর পর তারা ছুটির প্রার্থনা করেন। এরপর বেতন-ভাতাসহ সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করলেও বিচারকাজে বসতে পারেননি এ তিন বিচারপতি।
গত ২০ অক্টোবর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে রায় দেন আপিল বিভাগ। বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের পরিবর্তে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ফেরে।
এই রায়ের পর হাইকোর্টের তিন বিচারককে নিয়ে বেসরকারি এক টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন বিচারপতির অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। যদিও প্রতিবেদনটি ‘মিথ্যা, কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে ওইদিনই বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
HC orders probe into Adani power deal— নিউ এজের প্রধান শিরোনাম এটি।
এতে বলা হয়, ভারতীয় শিল্প গোষ্ঠী আদানির সঙ্গে সরকারের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির তদন্ত করতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এক মাসের মধ্যে কমিটি গঠন করে পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে অসম চুক্তি বাতিল করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
এছাড়া ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তির সময় যে দর কষাকষি হয়েছিল, তার নথিও এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে এ আদেশ দেন।
২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে করা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে আদানির ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
ঠিকানা/এসআর