Thikana News
২২ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাকে এক হাত নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাকে এক হাত নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই খুনিকে ফেরত না দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সরকারকে এক হাত নিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

আজ ১ আগস্ট (মঙ্গলবার) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালনের পর তিনি প্রসঙ্গক্রমে বলেন, এখনও বঙ্গবন্ধুর খুনিরা বিভিন্ন দেশে লুকিয়ে আছে এবং আমরা দুটি কেইস জানি। একজন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন, আরেকজন কানাডায় আছেন। বাকি তিনজনের খবর আমরা ঠিক জানি না। নানা অজুহাত দেখিয়ে তাদের ফেরত দেওয়া হচ্ছে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা আত্মস্বীকৃত খুনী, তারা ওই দুটি দেশে আছে। আর ওই সব দেশ মানবিকতার কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে, কিন্তু আত্মস্বীকৃত খুনিকে ওরা রেখে দিয়েছে। তাদের জন্য এটা লজ্জার।

প্রসঙ্গত, দুই দফায় ছয় জনের ফাঁসি কার্যকর হলেও জাতির পিতার বাকি পাঁচ খুনি এখনও রয়েছে অধরা।

তারা হলেন- আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও এবিএমএইচ নূর চৌধুরী।

এর মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে এবং নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থান করছেন। বাংলাদেশ বারবার দাবি জানালেও তাদের ফেরত পাঠানো হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে দুই খুনীকে ফেরত পাঠাতে বহুবার আলাপ হলেও তারা বিভিন্ন রকম ‘বাহানা’ দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
বলেন, কানাডার সঙ্গে বহু আলাপ হয়েছে। আমরা কোর্টে গিয়েও নূর চৌধুরী সম্পর্কে জানতে চেয়েছি, তথ্য দেয় নাই। একটা না একটা বাহানা করে, এখন বড় বাহানা হচ্ছে যে আমরা আমাদের কোর্টে ওকে ফাঁসি দিয়েছি, ফাঁসির রায় হয়েছে। তবে, স্কোপও আছে। সে এখানে এসে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারে। সেই সুযোগও আছে। কিন্তু কানাডা বলে, যে সমস্ত দেশে ফাঁসির আইন আছে, সেই সব দেশে তারা পাঠাবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে মোমেন বলেন, আমেরিকার মত দেশ, যেখানে আইনের শাসন বলবৎ আছে। আইনের শাসনের জন্য সবসময় সোচ্চার। সেই রকম একটা দেশ খুনিকে আশ্রয় দিয়ে রাখছে।

‘একটা খুনি না, আরেকটা খুনি ওখানে আছে। আল বদর রাজাকার, আরেকটি ওখানে আছে। খুনিদেরকে আশ্রয় দিয়ে রাখছে, এটা আমার কাছে খুব তাজ্জব মনে হয়। কারণ আমেরিকা হচ্ছে আইনের দেশ, সেখানে একটা বেআইনি লোককে আশ্রয় দিয়ে রাখছে, এটা দুঃখজনক।’

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স