Thikana News
২১ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ভারতেও ধাক্কা খেলেন শেখ হাসিনা

ভারতেও ধাক্কা খেলেন শেখ হাসিনা
গত ৬ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। অভিনন্দন বার্তায় তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের পরিচয় দেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ না করলেও ভারতের একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে দিল্লির অবস্থান জানতে চান। জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আশ্রয় দিয়েছে। শেখ হাসিনা এখনো নিজেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেও ভারত সেটা মনে করছে না।
রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্যের পর ভারতেও বড় ধাক্কা খেলেন শেখ হাসিনা। কারণ শেখ হাসিনা দিল্লিতে থেকে তিনবার টেলিফোনে দলীয় নেতাদের সঙ্গে যে বক্তব্য দেন, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, কাছেই রয়েছি চট করে দেশে ঢুকব, ড. ইউনূসের সরকার এক মাসও টিকতে পারবে না ইত্যাদি।
৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় প্রথমে দাবি করেন, তার মা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। অতঃপর শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার বার্তা দেন। কয়েক দিন পর সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, তার মা শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। এই বিতর্কের মধ্যে বাংলাদেশের একজন সিনিয়র সাংবাদিকের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, তার কাছে হাসিনার পদত্যাগপত্র নেই। এ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এমনকি এ বিতর্কে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন তীব্র পর্যায়ে রূপ নেয়। অথচ শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুুদ্দিন বলেছিলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করে চলে গেছেন।
সর্বশেষ গত ৮ নভেম্বর শুক্রবার আওয়ামী লীগ নিজেদের ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেয়, ১০ নভেম্বর রোববার বিকেল তিনটায় শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ করবে তারা। তারপর ওই পেজে টানা প্রচার চালানো হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার মূল কেন্দ্রে ছিল আওয়ামী লীগের এই কর্মসূচি। ৯ নভেম্বর শনিবার রাতে ফেসবুকে ছড়ানো হয়, বিভিন্ন জেলা থেকে আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকামুখী হচ্ছেন। এর আগে ৮ নভেম্বরই শেখ হাসিনার ‘কণ্ঠে’ নতুন একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই ফোনালাপে শেখ হাসিনার কণ্ঠের মতো একজনকে দলীয় নেতাকর্মীদের ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি হাতে মিছিল বের করার পরামর্শ দেওয়া হয়। অডিওতে নূর হোসেন দিবসে নেতাকর্মীদের মিছিল করতে বলা হয়েছে। অডিওতে বলা হয়, মিছিলে তাদের হাতে ট্রাম্পের ছবি থাকবে। এতে যদি কেউ যদি বাধা দেয়, কোনো হামলা করে, তাহলে তো সেটা ট্রাম্পের ছবিতে হামলা হবে। সেই ছবি তোলার জন্য আলাদা লোক থাকবে। তখন সেই হামলার ছবি আমি ট্রাম্পের কাছে পাঠাব। ট্রাম্পের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ আছে।
শেখ হাসিনার নতুন ফোনালাপ ও আওয়ামী লীগের এ কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে ফেসবুকে পোস্ট দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের এমন ঘোষণার পর পাল্টা কর্মসূচি দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা ১০ নভেম্বর রোববার দুপুর ১২টা থেকে জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। এতে তৈরি হয় রাজনৈতিক অস্থিরতা। জনমনেও ভীতি তৈরি হয়।
তবে কর্মসূচি ঘোষণা করলেও রাজধানীর পল্টন জিরো পয়েন্টের নূর হোসেন চত্বরে ওইদিন দেখা মেলেনি আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীর। ছাত্র-জনতা দখলে নেয় পুরো জিরো পয়েন্ট এলাকা। এর মাধ্যমে ভারতের পর দেশেও ধাক্কা খেলেন শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ।
 

কমেন্ট বক্স