শুক্রবার রাজধানীতে সমাবেশ ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার রাজধানীতে সমাবেশ করার অনুমতি না দেওয়ার প্রেক্ষিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে দলটি।
ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে চাই। সংঘাত-সংঘর্ষ চাই না। তাই সংঘাত এড়ানোর লক্ষে আজকের কর্মসূচি স্থগিত করে ৪ আগস্ট (শুক্রবার) রাজধানীতে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করছি। আশা করি, পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা দেবে।
তিনি জানান, সমাবেশের ব্যাপারে আজ-কালের মধ্যে আবেদন করা হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে মঙ্গলবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় উত্তর গেটে সমাবেশ করতে চেয়েছিল দলটি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াত লিফলেট বিতরণ, থানায়-ওয়ার্ডে সভাসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল।
পুলিশ সূত্র জানায়, বায়তুল মোকাররম না পেয়ে অন্য কোথাও বা কোনো বদ্ধ মিলনায়তনে সমাবেশ করতে রাজি ছিল জামায়াত। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামা বিএনপি অনুমতি পেলেও জামায়াতকে কোথাও কর্মসূচি করতে না দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে। দলটির পক্ষে অনুমতি চেয়ে আবেদন করা অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান সমকালকে বলেছেন, কী কারণে অনুমতি দেওয়া হয়নি- তা জামায়াতের নেতাদের জানানো হয়েছে।
পুলিশের অনুমতি নিয়ে ১০ বছর পর গত ১০ জুন ঢাকায় সমাবেশ করে যুদ্ধাপরাধের বিচারের ফলে দীর্ঘদিন কোনঠাসা থাকা জামায়াত। এটা রাজনীতিতে আলোচনা তৈরি করে। সরকারের সঙ্গে সমঝোতার গুঞ্জন ওঠে। এর মধ্যে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্বও প্রকাশ্যে আসে। ডাক না পাওয়ায় বিএনপির একদফার আন্দোলনে যোগ না দিয়ে নিজস্ব কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকার ঘোষণা দেয় আদালতের রায়ে নিবন্ধন হারানো জামায়াত।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জামায়াতের সকল সাংগঠনিক মহানগর ২৮ জুলাই এবং সকল সাংগঠনিক জেলা ৩০ জুলাই বিক্ষোভ মিছিলের জন্য পুলিশকে অবহিত করে। কিন্তু কোথাও অনুমতি পায়নি। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিভিন্নস্থানে মিছিল করে। চট্টগ্রামে সংঘর্ষ হয়।
ঠিকানা/এসআর


ঠিকানা অনলাইন


