Thikana News
২১ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ করবে সেনাবাহিনী, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার

জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ করবে সেনাবাহিনী, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার ছবি : সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনীকে দ্বারা বাস্তবায়িত হোক, এতে আমাদের কোনো সমস্যা নাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি চায় সেনাবাহিনীকে কাজ দিতে ইউজিসির মাধ্যমে, এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো সমস্যা নেই। সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে দেওয়ার জন্য আমরা সহযোগিতা করব।’

১২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পের চলমান কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পর্যালোচনার বিষয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টার এই আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন জবির শিক্ষার্থীরা। দাবিদাওয়া পূরণ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত হওয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পাঁচ দফা আন্দোলনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া তিন দিনের আল্টিমেটাম ও আন্দোলন থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পের চলমান কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পর্যালোচনার বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ও তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধির বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে এ কথা বলেন আন্দোলনের সংগঠক এ কে এম রাকিব।

এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের দাবিদাওয়া পূরণ ও মন্ত্রণালয় আমাদের সঙ্গে একমত হওয়ায় আমরা আমাদের আল্টিমেটাম থেকে সরে আসছি। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইউজিসি বরাবর প্রকল্প পরিচালককে সরিয়ে দেওয়ার জন্য চিঠি দেবে। প্রকল্প পরিচালকের পদে সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন। আর প্রকল্পের প্রথম ধাপের বাকি পাঁচটি কাজ সেনাবাহিনী করবে। প্রকল্পের দ্বিতীয় মেয়াদের কাজের ডিপিপি হলে সেটাও সেনাবাহিনীকে দিয়ে করানো হবে।

বৈঠক শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যে জায়গাটা বরাদ্দ করা হয়েছে সেটা আমি দেখিনি, তবে এটা একটা বিরাট জায়গা ও মহাপরিকল্পনা। এটাকে অন্তর্বর্তী সরকারের একটা মহা প্রজেক্ট বলা যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আমি বুঝতে পারি জমি অধিগ্রহণ কেন হয়নি, প্রকল্প পরিচালকের দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত করে দেখুক, প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক। নতুন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হোক। বর্তমান প্রকল্প বুয়েটের মাধ্যমে চলছে, এটি এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে। আন্দোলনের আগে আমি অনেক কিছু করে দিয়েছি, প্রথম ফেজের (ধাপ) মেয়াদ বাড়িয়েছি ৷ একনেক সভায় এই মহাপরিকল্পনার অনুমোদনও দিয়ে দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের ছোটখাটো যে দাবিগুলো রয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনই সমাধান করতে পারে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমসহ শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান।

ঠিকানা/এএস 

কমেন্ট বক্স