গোটা পৃথিবীর চোখ এখন অ্যামেরিকার দিকে। কে হবে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, ডোনাল্ড ট্রাম্প, না কি কমলা হ্যারিস? লড়াই চলছে হাড্ডাহাড্ডি। তবে যিনিই নির্বাচিত হবেন, তার ক্ষমতা নির্ধারিত হবে সেনেট এবং কংগ্রেসে তাদের পক্ষে কত ভোট আছে তার উপরে। অনেক সময়েই দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট যে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন, সেনেট এবং কংগ্রেস তা আটকে দিচ্ছে। ফলে সেনেট এবং কংগ্রেসের নির্বাচন প্রক্রিয়াও গুরুত্বপূর্ণ।
৬ নভেম্বর (বুধবার) মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাচনের পাশাপাশি ভাগ্য নির্ধারিত হচ্ছে হাউস অফ রিপ্রেসেনটেটিভের ৩৩ জন সেনেটরের। এই ৩৩ জন সেনেটরের উপর নির্ভর করবে হাউসে রিপাবলিকানদের পাল্লা ভারী হবে, না কি ডেমোক্র্যাটদের।
প্রাথমিক ভোট গণনার পর একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে। সেনেট এবং কংগ্রেস দুই জায়গাতেই রিপাবলিকানরা ডেমোক্র্যাটদের থেকে অনেকটা এগিয়ে আছে। সেনেটে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২। রিপাবলিকানদের সংখ্যা সেখানে ৫১। হাউসে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যা ১৬৩। রিপাবলিকান ১৮৭।
তবে ডেলাওয়্যার রাজ্য থেকে বিপুল ভোট জয়ী হয়ে কংগ্রেসের সদস্য হচ্ছেন প্রথম রূপান্তরকামী ব্যক্তি সারাহ। রাজ্যবাসীকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বস্তুত, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারে রূপান্তরকামীদের সরাসরি আক্রমণ করেছিলেন। তারপরেও তার এই জয় নিঃসন্দেহে আমেরিকার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।