Thikana News
১৮ অক্টোবর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪


 

আ.লীগের দুই নেত্রীর মারামারি, একজন হাসপাতালে

আ.লীগের দুই নেত্রীর মারামারি, একজন হাসপাতালে ছবি সংগৃহীত


কুড়িগ্রামে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সোমবারের বিক্ষোভ মিছিল আয়োজনের বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই নেত্রীর মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

৩০ জুলাই রোববার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. জাফর আলীর বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সোমবার বিএনপির সমাবেশের প্রতিবাদে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের একটি বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ছিল। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. জাফর আলীর কাছে পরামর্শের জন্য তার বাসায় গেলে সেখানে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফাল্গুনী তরফদারকে দেখে ক্ষিপ্ত হন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য খাদিজা সুলতানা কেয়া।

এরপর সোমবারের সভাকে কেন্দ্র করে খাদিজা সুলতানা কেয়া মো. জাফর আলীর কাছে লোকজনের জমায়েতের জন্য খরচ বাবদ কিছু অর্থ দাবি করেন। মো. জাফর আলী অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ফাল্গুনী তরফদারের সঙ্গে মিলে যৌথভাবে বিক্ষোভ মিছিল করার পরামর্শ দেন। এতে আরও রেগে যান খাদিজা সুলতানা কেয়া। এরপর কে কত লোকজন নিয়ে আসবেন এবং কে মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য, কে সদস্য নয় এসব বিষয় নিয়ে দুই নেত্রীর মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় দুজনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন মো. জাফর আলী।

এর একপর্যায়ে অভিযুক্ত খাদিজা সুলতানা কেয়া ফাল্গুনী তরফদারকে ধাক্কা দিয়ে পেটে লাথি মারলে ঘটনাস্থলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে নিজ বাড়িতে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য জেসমিন আরা লাকি বলেন, ‘বিক্ষোভ মিছিল কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, এ বিষয়ে পরামর্শের জন্য আমরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন সদস্য জাফর ভাইয়ের বাসায় যাই। পরামর্শের কথা বলার একপর্যায়ে কেয়া ও ফাল্গুনীর মধ্যে সদস্যপদ নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে খাদিজা সুলতানা কেয়া ফাল্গুনী তরফদারকে ধাক্কা দিয়ে পেটে লাথি মারলে সেখানেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।’

মারপিটের শিকার ফাল্গুনী তরফদার বলেন, ‘কেয়া জাফর ভাইয়ের কাছে ৫০ হাজার টাকা চায়। ভাই সে টাকা না দিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে বলেন, যাতে আমরা একসঙ্গে প্রোগ্রামটা করি। সে এটার বিরোধিতা করে, আমাকে তুইতুকারি করে গালি দেয়। আমি বিগত প্রোগ্রামগুলো নিজের টাকা খরচ করে করেছি। জাফর ভাইয়ের টাকার আশায় থাকিনি। আর এটার প্রতিবাদ করায় সে আমাকে পিটায়, লাথি দেয়।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত খাদিজা সুলতানা কেয়া বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি তার গায়ে হাত দেওয়া বা লাথি মারিনি। শুধু একটু তর্কাতর্কি হয়েছে। সে আমাকে লাথি দেখিয়েছে। তা ছাড়া আমি কোনো টাকা দাবি করিনি ,শুধু বলেছি লোকজন আসবে তাদের খাবার, যাতায়াত এসবের ব্যবস্থা করতে হবে।’

কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি মো.ফরিদ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে সোমবার বিকেলে ফাল্গুনী তরফদারের ছোট বোন মিনা তরফদার বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।’

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স