Thikana News
২২ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার শীর্ষ খবর

আদানি ‘একতরফা’ চুক্তির সুযোগ নিচ্ছে

আদানি ‘একতরফা’ চুক্তির সুযোগ নিচ্ছে
‘দণ্ডিত হলেই হাসিনাকে ফেরত আনা হবে’, নয়া দিগন্ত
লুটপাটে ‘বিশেষজ্ঞ’ লোটাস কামাল, সমকাল
‘দুদকের সাংবিধানিক মর্যাদা জরুরি’, যুগান্তর
‘চাল সরবরাহ না বাড়লে খাদ্যঘাটতির শঙ্কা’, কালের কণ্ঠ
‘যৌথ বাহিনী, শিক্ষার্থী ও পুলিশ পরিচয়ে বেড়েছে ডাকাতি’, ইত্তেফাক
‘সচিবালয়ে থাকার জন্য পদোন্নতি চান না তাঁরা’, আজকের পত্রিকা
‘ধরা হবে সুপারিশকারীদেরও’, দেশ রূপান্তর
‘Govt decides to lift duties on rice imports’, ডেইলি স্টার
‘সুদহার বৃদ্ধি ও বন্যায় বিপর্যয়ের আশঙ্কা এসএমই খাতে’, বণিক বার্তা


প্রথম আলো

দেশের বিদ্যুৎখাত নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম আদানি ‘একতরফা’ চুক্তির সুযোগ নিচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা চুক্তি নিয়ে জটিলতা কাটছে না। গত জুলাই থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার বাড়তি দাম ধরে বিদ্যুৎ বিল করছে আদানি। বকেয়া বিল পরিশোধে বাংলাদেশকে চাপও দিচ্ছে। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে অর্ধেকের নিচে নামিয়েছে তারা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ‘একতরফা’ চুক্তির সুযোগ নিচ্ছে আদানি।

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় নির্মিত। গত বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর আগেই কয়লার দাম নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। কয়লার চড়া দাম দিতে অস্বীকৃতি জানায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এরপর দাম কমাতে রাজি হয় আদানি। পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে কম দামে কয়লা সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও দেয় তারা। তবে এক বছর পর এখন আবার ২২ শতাংশ বাড়তি দাম চাইছে আদানি।আদানি গত জুলাই থেকে কয়লার বাড়তি দামে বিল করছে। বকেয়ার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে। গতকাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছে তারা।

বাড়তি দাম নিয়ে বিরোধ ও বকেয়া পরিশোধের তাগিদের মধ্যে সর্বশেষ গত ২৮ অক্টোবর পিডিবিকে চিঠি দেয় আদানি। এতে বলা হয়, পিডিবি যাতে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের ব্যবস্থা নেয়, নইলে আদানি ক্রয়চুক্তি অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে বাধ্য হবে। কারণ, আদানি চলতি মূলধনের সংকটে রয়েছে।

পিডিবি সূত্র বলছে, বিদ্যুৎ আমদানিতে আদানির নামে ঋণপত্র (এলসি) খোলার কথা ছিল ৩০ অক্টোবরের মধ্যে। এই ঋণপত্র খোলার কথা ছিল কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে; কিন্তু সেটা হয়নি। পিডিবি আরও সময় চেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে একটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছে আদানি। ৭৫০ মেগাওয়াট সক্ষমতার চালু ইউনিট থেকেও উৎপাদন হচ্ছে ৫০০ মেগাওয়াটের একটু বেশি। একই সময়ে কয়লার অভাবে বন্ধ রয়েছে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র। বকেয়া জটিলতায় উৎপাদন কমেছে রামপাল ও বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে। এতে গতকাল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ দেড় হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছে।

পিডিবি সূত্র বলছে, পটুয়াখালীর পায়রায় নির্মিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতি টন কয়লার দাম নিচ্ছে ৭৫ মার্কিন ডলার। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস এস পাওয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি টন কয়লার দাম ৮০ ডলারের কম। আর আদানি প্রতি টন কয়লার দাম চাইছে ৯৬ ডলার। তার মানে প্রতি টন কয়লায় পায়রা ও রামপালের চেয়ে ২১-১৬ ডলার বাড়তি চাইছে তারা।

যুগান্তর
‘দুদকের সাংবিধানিক মর্যাদা জরুরি’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, দুর্নীতিসংশ্লিষ্ট অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্ত পরিচালনার জন্য ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর (প্রায় ২০ বছর) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গঠন করা হয়। সেই থেকে দেশের দুর্নীতি দমনের জন্য গঠিত এ প্রতিষ্ঠানটি সরকারের আজ্ঞাবহ হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে দেশের দুই বড় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাসহ বড় ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। জেলে পাঠানো হয়। অনেকের সাজাও হয়। কিন্তু ২০০৯ সালে জাতীয় নির্বাচনের পর ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।

পালটে যায় অনেক কিছু। থমকে যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান। এমনকি ভাটা পড়ে দুর্নীতির অনুসন্ধান-তদন্ত এবং বিচারেও। সেই থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা সাড়ে ১৫ বছর দেশ এককভাবে দলটির শাসনকালে বিরোধী দলের নেতাকর্মী-জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে ব্যস্ত ছিল দুদক।

অন্যদিকে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতার লাগামহীন দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অনুসন্ধান-তদন্তের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি ছিল ‘নীরব দর্শক’-এর ভূমিকায়। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের নেতা এবং দলটির আশীর্বাদপুষ্ট প্রভাবশালীদের বিরদ্ধে ‘ওয়ান-ইলেভেন’-এর সময় করা সব মামলা থেকে ‘দায়মুক্তির সনদ’ বা ‘ক্লিন সার্টিফিকেট’ দেওয়া হয়েছে নির্বিচারে। এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় দুদকের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে দুদকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া এ মহূর্তে জরুরি হয়েছে পড়েছে-এমন মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘চাল সরবরাহ না বাড়লে খাদ্যঘাটতির শঙ্কা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চাল উৎপাদন কম হবে। তাই আমদানি করে দেশের বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানো না গেলে খাদ্যে ঘাটতির শঙ্কা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। গত আগস্টে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কারণে আমন চাষে প্রভাব পড়ার পর থেকে খুচরা বাজারে চালের দাম বাড়তি।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফসলের ফলন কমে যাওয়ায় চালের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুল্ক কমিয়ে আমদানিকে উৎসাহিত এবং স্থানীয় মজুদ বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও বাজারে উত্তাপ কমছে না। গত এক মাসের ব্যবধানে খুচরায় প্রতি কেজি চালের দাম ৪ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

গরিব মানুষের খাদ্য ব্যয়ের একটি বড় অংশ যায় চালের পেছনে। নতুন করে চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সংসার সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৬ আগস্ট থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে দুই দফা বন্যা দেখা দেয়। এতে আট লাখ ৩৯ হাজার টন চালের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।

দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি চাল আমদানিতে শুল্ক-কর ৬২.৫ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়। এর পরও বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, চাল আমদানি করা হলে বর্তমান বাজারের চেয়ে বেশি দামে ক্রেতাদের কিনতে হবে। বেশি দামের কারণে দেশের ব্যবসায়ীদেরও মুনাফা হবে না।

এ পরিস্থিতিতে বাজারে ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফেরাতে চালের আমদানি শুল্ক পুরোপুরি তুলে নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিসি)।

সমকাল
লুটপাটে ‘বিশেষজ্ঞ’ লোটাস কামাল-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, পরিচিত লোটাস কামাল নামে। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট; পাঁচবার এমপি ছিলেন কুমিল্লা-১০ আসনের। সামলেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। ক্রিকেট সংগঠক হিসেবেও রয়েছে খ্যাতি। সব পরিচয় ছাপিয়ে লোটাস কামাল একজন বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ। অথচ তাঁর হাতেই দেশের অর্থনীতি বলা চলে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে!

লোটাস কামাল শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন। মালয়েশিয়ায় কর্মী রপ্তানি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাতিয়েছেন বিপুল অর্থ। মেগা প্রকল্প দেখলেই 'মাথা নষ্ট' হয়ে যেত তাঁর। প্রয়োজন না থাকলেও কুমিল্লায় গ্রামের বাড়ির পাশে তিনি বাগিয়ে নেন 'শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার' এবং 'নলেজ পার্ক' প্রকল্প।

স্বজনের মাধ্যমে এসব প্রকল্পের অর্থ হাতিয়ে লোটাস কামাল তকমা পেয়েছেন 'লুটপাট বিশেষজ্ঞের'। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা জানান, স্বজনপ্রীতিতে ওস্তাদ লোটাস কামালের কাছে গুরুত্বহীন ছিলেন দলের ত্যাগীরা। মন্ত্রিত্ব ছিল তাঁর টাকা বানানোর মেশিন। এস আলম গ্রুপের সঙ্গে গভীর সখ্য রেখে নিজের ও স্বজনের নামে কয়েক হাজার কোটি টাকা লোপাট এবং পাচার করেছেন।

সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) কে এম সিংহ রতনকে কামাল 'ছায়ামন্ত্রী' বানিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতেন আর্থিক ও ব্যাংক খাত। পেতেন তদবির, নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলি বাণিজ্যের কমিশন। ভাইয়ের মাধ্যমে কবজায় রেখেছেন দলীয় পদ-পদবি। টেন্ডার,টিআর ও কাবিখা থেকে হাতিয়েছেন অর্থ। মুস্তফা কামালের বাবা বাবরু মিয়া ছিলেন দিনমজুর। এলাকায় লোটাস কামাল পরিচিত ছিলেন আদম ব্যবসায়ী হিসেবে। ১৯৯৪ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-৯ আসনের এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার মারা গেলে ভাগ্য খোলে তাঁর।

রাজনীতিতে এসে ১৯৯৬ সালে নৌকার টিকিটে প্রথমবার এমপি হন কামাল। ২০০১ সালে পরাজিত হলেও, ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাঁর দল আওয়ামী লীগের মতোই এমপি হয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ২০১৪ সালে পরিকল্পনা এবং ২০১৯ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে বিসিবি সভাপতি ও ২০১৪ সালে আইসিসির সভাপতি নির্বাচিত হন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ অজুহাতে পরিবার নিয়ে দেশ ছাড়েন লোটাস কামাল।

ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘যৌথ বাহিনী, শিক্ষার্থী ও পুলিশ পরিচয়ে বেড়েছে ডাকাতি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীসহ সারা দেশে হঠাত্ করেই চুরি, ছিনতাই-ডাকাতি বেড়ে গেছে। শিক্ষার্থী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নানা পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকছে ডাকাত দল। সর্বশেষ বুধবার রাতে ধানমন্ডির একটি বাড়িতে ঢুকে একদল ডাকাত। যদিও সেনাবাহিনী ও পুলিশের তত্পরতায় ১৩ জন গ্রেফতার হয়েছে। আরো চার-পাঁচ জন পালিয়ে গেছে। কয়েক দিন আগে যৌথ বাহিনী পরিচয়ে মোহাম্মদপুরের একটি বাড়িতে ঢুকে ৬০ ভরি স্বর্ণ ৭৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতি করতে গিয়ে খুনের ঘটনাও ঘটেছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে ডাকাতি বেড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রত্যেকটি বাড়িতে লাঠি সংগ্রহে রাখতে বলেছে ধানমন্ডি সোসাইটি।

অনেক এলাকায় পুলিশকে বারবার ফোন করা হলেও ঠিকভাবে সাড়া দিচ্ছে বলে না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। কেন পুলিশ সাড়া দিচ্ছে না? জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মইনুল হাসান ইত্তেফাককে বলেন, ‘ফোন করার পরও পুলিশ সাড়া দেয়নি এমন সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ইতিমধ্যে টহল বাড়িয়েছি। কিছু যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো পূরণ করা হচ্ছে। তবে কোনোভাবেই শৈথিল্য মেনে নেওয়া হবে না। ইতিমধ্যে চেকপোস্টও বাড়ানো হয়েছে। কয়েক দিন আগে দুর্গাপূজায় পুলিশের নিরবচ্ছিন্ন তদারকির কারণে রাজধানীতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। প্রত্যেকটি ঘটনায় তদন্ত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে, আসামিও ধরা হচ্ছে।’

যৌথবাহিনী সূত্র জানা গেছে, গত বুধবার রাত ১০টার দিকে ধানমন্ডির ১৩ নম্বর সড়কের ১৩/এ নম্বর বাড়িতে আসে কিছু যুবক। তারা নিজেদের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা বাড়ির ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। এ সময় তারা বাড়ির কেয়ারটেকার আব্দুল মান্নানকে মারধর করে। আশপাশের বাড়ির লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে ধানমন্ডি থানায় ফোন করে। কিন্তু প্রথমদিকে পুলিশ সাড়া দেয়নি। পরে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে খবর দেওয়া হলে সেনাসদস্যরা সেখানে হাজির হন। এ সময় বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়া ১৩ জনকে সেনাসদস্যরা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

ধানমন্ডি সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের এক জন কর্মকর্তা ইত্তেফাককে জানিয়েছেন, ‘ডাকাতির খবর পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে সেনাবাহিনী টহল টিম সেখানে পৌঁছে। বাড়ির ভেতরে থাকা ডাকাতদের গ্রেফতার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি বাড়িতে আমাদের ক্যাম্পের নম্বর দেওয়া আছে, কোনো ধরনের ঘটনা আঁচ করতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ফোন করতে বলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা আমাদের নম্বর খোলা।’

নয়া দিগন্ত
‘দণ্ডিত হলেই হাসিনাকে ফেরত আনা হবে’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি গাড়ির সংখ্যা কত তা অনুসন্ধান করবে সরকার। এজন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছে গাড়ির সংখ্যা চাওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ভিসা অফিস ঢাকায় স্থাপন করা হবে। স্থায়ীভাবে এ অফিস খোলার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অভিবাসী অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ভেতরে একটি পৃথক সচিবালয় স্থাপন করা হবে।

ওই দফতর থেকে অধিভুক্ত কলেজগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বাংলাদেশ ফুটবল দলের ছেলে এবং মেয়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে বিদ্যমান বেতনবৈষম্য দূর করা হবে। এ ছাড়া অপেক্ষমাণ ১৮ হাজার বাংলাদেশী শিগগিরই মালয়েশিয়া যাওয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি গঠনের মধ্যে দিয়ে সরকারের নির্বাচনী অভিযাত্র শুরু হয়ে গেছে। অন্য দিকে পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ট্রাইব্যুনালের রায়ে দণ্ডিত হলেই তাকে বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় ফেরত চাওয়া হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো: শফিকুল আলম এসব কথা বলেন। এ সময় উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস সচিব জানান, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নির্ধারিত এজেন্ডার বাইরে উল্লিখিত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সরকার প্রয়োজনে গাড়ি ক্রয় করে। প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের দৈনন্দিন কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহৃত হয়। সরকার এ পর্যন্ত কত গাড়ি ক্রয় করেছে। কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে গত গাড়ি কেনা হয়েছে। গাড়িগুলোর বর্তমান অবস্থা কি? গাড়িগুলোর বয়স কত? এসব বিষয়ে অনুসন্ধান করছে সরকার। প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে গাড়ির হিসাব দিতে বলা হয়েছে।

ডেইলি স্টার
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘Govt decides to lift duties on rice imports’ অর্থাৎ ‘চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত’। প্রতিবেদনে বলা হয়, মজুদ বাড়াতে চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে সরকার।
সম্প্রতি বন্যার কারণে ধানের উৎপাদন কমে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সব ধরনের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং রোববার একটি আদেশ জারি করা হবে।
এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘এনবিআর চাল আমদানির ওপর বিদ্যমান ২৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
চাল আমদানিতে অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে এনবিআর।

বণিক বার্তা
দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘সুদহার বৃদ্ধি ও বন্যায় বিপর্যয়ের আশঙ্কা এসএমই খাতে’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়ন। ১৮ বছর আগে ব্যাংক ঋণ ও ধার নিয়ে পোলট্রি ব্যবসায় নেমেছিলেন এখানকার প্রত্যন্ত এক গ্রামের বাসিন্দা মাসুক। সাম্প্রতিক বন্যা তাকে একপ্রকার পথে বসিয়েছে। লোকসান গুনতে হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকার। এর সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ব্যাংক ঋণের সুদহার। পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি এখনো। ঋণের কিস্তি সঠিক সময়ে পরিশোধ করতে পারছেন না। ব্যবসায় ফেরা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।

ফেনীর ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বেশির ভাগই এখন এ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। পোলট্রি ব্যবসায়ী মাসুকের ভাষ্যমতে, ‘করোনার সময় প্রণোদনা ঋণ পেয়েছিলাম। কিন্তু এবার এমন কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমার প্রায় দেড় কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ব্যাংক ঋণ ছিল, ধার-দেনা ছিল। এ পরিস্থিতির কারণে অনেক খামারি এখন ব্যবসা বন্ধ করে চলে যাচ্ছে। নতুন করে ব্যবসা দাঁড় করানোর মতো কোনো পরিস্থিতি ওদের নেই।’

চলতি বছর তিন ধাপে দেশের প্রায় অর্ধেক জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হওয়া জেলাগুলো হলো ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও নীলফামারী। এসব জেলা ছাড়াও বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে দেশের বিস্তীর্ণ জনপদের কৃষি, ফল-ফসল ও প্রাণিসম্পদ বিপুল ক্ষতির শিকার হয়েছে। ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প (সিএসএমই) খাতও। এ খাতের অনেক প্রতিষ্ঠানই এখন ব্যাংক ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা হারিয়েছে।

আজকের পত্রিকা
‘সচিবালয়ে থাকার জন্য পদোন্নতি চান না তাঁরা’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, সচিবালয়ের বাইরেসহ সরকারের যেকোনো দপ্তরে পোস্টিং হওয়া এড়াতে অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (এও-পিও) পদোন্নতি নিতে চাইছেন না। বিদেশে পদায়নের সুযোগ হারানোও সাধারণত তাঁদের এ মনোভাবের কারণ।

প্রবণতাটি এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি পদোন্নতি গ্রহণে আপত্তি করা কর্মকর্তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে অনুশাসন জারি করেছে। জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ পদোন্নতি না নিতে চাওয়ার আবেদনকে ‘অসদাচরণ’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এমন আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হওয়া উচিত।

সচিবালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা (এও-পিও) কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ক্যাডারবহির্ভূত উপসচিব পর্যন্ত পদোন্নতি পান। কোনো কর্মকর্তা এসব পদ থেকে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী সচিব হলে সরকারের যেকোনো দপ্তরে তাঁদের পদায়ন করা যায়।

স্বরাষ্ট্র, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, বাণিজ্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি সরকারি দপ্তরের কর্মীদের বিদেশে বাংলাদেশ মিশন ও দূতাবাসে পোস্টিংয়ের সুযোগ আছে। কিন্তু সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেলে বিদেশের সেই পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ জন্যও অনেক এও-পিও পদোন্নতি নিতে চান না।

দেশ রূপান্তর
‘ধরা হবে সুপারিশকারীদেরও’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হওয়ার পর আওয়ামী সরকারের গত দেড় দশকে নিয়োগ ও পদোন্নতি পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্য সদস্যদের রাজনৈতিক আমলনামা, কর্মকা- খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি), মন্ত্রী বা সচিব ডিও লেটার (চাহিদাপত্র) দিয়েছেন, অর্থাৎ কার সুপারিশ ছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনকি যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তদবিরে যাদের পদোন্নতি হয়েছে, তাদেরও শনাক্ত করার চেষ্টা করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। পাশাপাশি যারা সুবিধা নিয়েছেন তাদের তালিকা তৈরির কাজও গুছিয়ে আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বেশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরের এক নির্দেশনায় অনুযায়ী এই আমলনামা তৈরি করা হচ্ছে এবং আগামী এক মাসের মধ্যে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে পুলিশের একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে জানিয়েছে।

ঠিকানা/এসআর
 

কমেন্ট বক্স