এই দ্রুত-ব্যস্ত যুগে স্বাস্থ্যকর ও সার্থক সম্পর্ক বজায় রাখতে সঠিক যোগাযোগ, বোঝাপড়া ও খাপখাইয়ে চলার ভালো ভারসাম্য থাকা জরুরি।
প্রতিটা সম্পর্কেই চড়াই-উৎরাই থাকে। সামান্য পরিশ্রমের মাধ্যমে সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে পারলে তা আরও জোড়ালো হয়।
সম্পর্কে জটিলতা দেখা দিলে সবাই সেগুলো সমাধানের উপায় খুঁজে থাকেন।
ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ও ‘বুক লাভ, লাস্ট অ্যান্ড লেমন্স’ বইয়ের লেখক শাহজিন শিবদাসানি এই সম্পর্কে পরামর্শ দেন, “কোনো সমস্যা দেখা দিলে দুজনকেই খোলামেলাভাবে কথা বলতে হবে। সমস্যার মোকবিলা করতে না চাওয়া ও তাদের মুখোমুখি হতে অক্ষম হওয়া সম্পর্ক ঠিক না হওয়ার লক্ষণ।”
যদি দুজনই সমস্যার সমাধান করার পাশাপাশি একে অপরের সঙ্গে থাকতে চান তাহলে সম্পর্কে এমন পরিবর্তন আনা প্রয়োজন যেখানে দুজনেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকেন। এতে সম্পর্ক উন্নত ও জোড়ালো হয়।
সম্মান: সমস্যা যাই হোক না কেনো একে অপরকে এখনও সম্মান করতে পারেন কিনা তা বিবেচনা করে দেখা উচিত। গভীর বোঝাপড়া, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং একে অপরের আবেগের যত্ন নেওয়া সম্পর্কের ভীত মজবুত করে।
সাহায্য চাওয়া: প্রয়োজনে দুজনেরই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। দুজনেরই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চলা এবং সম্পর্কের বাধা কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টা নির্দেশ করে যে, আপনারা একে অপরের সঙ্গে থাকতে ইচ্ছুক।
ক্ষমা করা: সম্পর্ক বাঁচাতে চাইলে একে অপরের ভুল ক্ষমা করা উচিত। সঙ্গীর ভুল মনে ধরে রাখা এবং একই বিষয় নিয়ে বার বার ঝামেলা করা অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক চর্চা।
নতুনভাবে সম্পর্ক শুরু করতে চাইলে পুরান ভুল ত্রুটি এড়িয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
সঙ্গ উপভোগ করা: একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করা জরুরি। সঙ্গীর সাথে সমস্যা থাকতে পারে। তারপরেও কি তার সাথে আপনি সবকিছু ‘শেয়ার’ বা ভাগাভাগি করতে চান বা খোলামেলা কথা বলতে চান? সঙ্গীর কাছে কি এখনও নিরাপদ বোধ করেন?
এই প্রশ্নগুলোই মনে করিয়ে দেয় যে, আসলে কিসের জন্য লড়াই করা হচ্ছে। আর সেগুলো কোনোভাবেই অবহেলা করা উচিত না।
সব সম্পর্কই জরুরি। নিজের জন্য ভালো নয় এমন কোনো সম্পর্কে জড়ানো ঠিক নয়।
তবে এটাও মনে রাখতে হবে, সব চেয়ে ভালো সম্পর্কেও যত্নের প্রয়োজন হয়। যদি দুজনেই সমান প্রচেষ্টা চালান তাহলে যে কোনো পরিস্থিতিই সামলে নেওয়া যায়।
ঠিকানা/এসআর