Thikana News
০৭ অক্টোবর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার শীর্ষ খবর

‘রাষ্ট্রপতিকে সরানোর পেছনে ষড়যন্ত্র দেখছে বিএনপি’  

‘রাষ্ট্রপতিকে সরানোর পেছনে ষড়যন্ত্র দেখছে বিএনপি’  



 
সমকাল
‘রাষ্ট্রপতিকে সরানোর পেছনে ষড়যন্ত্র দেখছে বিএনপি’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি যে বিএনপিতে আটকে গেছে, তা পুরোপুরি স্পষ্ট। রাষ্ট্রপতির অপসারণ প্রশ্নে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, অন্তর্বর্তী সরকার এবং জামায়াতে ইসলামী যেখানে একই সরলরেখায় দাঁড়িয়েছে; সেখানে বিএনপি কেন বেঁকে বসল! এমন প্রশ্ন দেশের মানুষের মনে মনে।
বিএনপি নেতারা সাংবিধানিক 'শূন্যতা' তৈরির কথা খোলামেলা বললেও ভেতরে ভেতরে রাজনৈতিক 'ষড়যন্ত্রের গন্ধ' পাচ্ছে দলটি। আদতে এই শঙ্কা থেকেই রাষ্ট্রপতির পক্ষে দলটির ‘কঠোর’ অবস্থান। এ পরিস্থিতিতে যে কোনো 'ষড়যন্ত্র' মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও দৃঢ় অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

দলটির নীতিনির্ধারক নেতাদের প্রশ্ন, সংবিধানের কোন প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হবে? কী উদ্দেশ্যে সরানো হবে? এই অপসারণ দেশ ও জনগণের জন্য ইতিবাচক, নাকি নেতিবাচক হবে? রাষ্ট্রপতিকে সরানোর উদ্যোগের সঙ্গে শুধু কি ছাত্ররা জড়িত, নাকি পর্দার আড়ালে অন্য কেউ নির্বাচন প্রলম্বিত করতে অন্য খেলা খেলছে? এসব বিষয়ে আরও পর্যালোচনা করবেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। একই সঙ্গে সমমনা দল ও জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে নেওয়া হবে মত। সবার মনোভাব বিশ্লেষণ করে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পরই দলীয় অবস্থান আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে অন্তরায় হবে- এমন কিছু বিএনপির কাছে সন্দেহাতীত প্রমাণিত হলে রাষ্ট্রপতির অপসারণের প্রশ্নে তাদের অবস্থান অনড়ই থাকবে।

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবির বিষয়ে বিভিন্ন দলের সঙ্গে সংলাপ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। গত শনিবারের বৈঠকে দলীয় ফোরামে আলোচনার পর রাষ্ট্রপতি প্রশ্নে তাদের অবস্থান তুলে ধরার কথা বলেছে বিএনপি। যদিও দলটির নেতারা প্রতিদিনই অপসারণের বিপক্ষে নিজেদের মত তুলে ধরেছেন।

ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় সরকারকে প্রধান বিচারপতির প্রস্তাব’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় সরকারের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবর এই প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথককরণের ১৭ বছর পর দেশের কোনো প্রধান বিচারপতি এই প্রথম পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ গ্রহণ করলেন।

রবিবার মন্ত্রণালয় বরাবর পাঠানো সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বিচার বিভাগ পৃথককরণ সংক্রান্ত মাসদার হোসেন মামলার রায়ে ক্ষমতার পৃথকীকরণের যে রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে তার অন্যতম মৌলিক ভিত্তি হলো—দেশের বিচার বিভাগের জন্য একটি পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা। এ কথা সত্য, বিগত বছরগুলোতে রাজনৈতিক সরকারের অনীহার কারণে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ সম্ভবপর হয়নি। এ কারণে জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ঐ রায়ের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের এখনই শ্রেষ্ঠ সময়। তাই এ প্রচেষ্টার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে—নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ রূপে স্বাধীন একটি পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা। কেননা, কেবলমাত্র পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই দেশে দক্ষ, নিরপেক্ষ ও মানসম্পন্ন বিচার কাজের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

আইনজ্ঞরা বলছেন, প্রধান বিচারপতির এই প্রস্তাবনা সাদরে গ্রহণ করে সরকারের উচিত সুপ্রিম কোর্টের অধীনে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া। এটা করা হলে অধস্তন আদালতের ওপর সব ধরনের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ বন্ধ হবে।

যুগান্তর
‘এলজিইডির নিয়োগ বিধি তছনছ’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) বিভিন্ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি কোনো নিয়মকানুন মানা হয়নি। আদালতের আদেশকে সামনে রেখে বিগত সরকারের ১৫ বছরে প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ইচ্ছামতো। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের সংখ্যা তিন হাজারের বেশি। এর মধ্যে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেননি এমন প্রার্থীকেও প্রকৌশলী পদে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা কয়েকজন কৃষিবিদকে পুরকৌশল (সিভিল ইঞ্জিনিয়ার) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যথাযথ শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের আগেই চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসবই হয়েছে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে। বিগত সরকারের শুরু থেকেই সুবিধাভোগী কয়েক প্রভাবশালী আমলা ও এলজিইডির ক্ষমতাধর কর্মকর্তারা প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত প্রার্থীদের পক্ষে ভর করেন। এ কারণে পদোন্নতি ও পদায়নের বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন তারা। এ নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে প্রকল্প ও এলজিইডির নিজস্ব কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, জনপ্রশাসন, সরকারের অর্থ বিভাগ এবং উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটিও যদি এলজিইডির এই নিয়োগ সম্পর্কে কিছুই না জানে তাহলে তারা সরকারি বেতন-ভাতা পাচ্ছেন কীভাবে? অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া দরকার। এই দীর্ঘ সময় সরকারের অডিট বিভাগ এলজিইডির এই জনবলের রিপোর্ট কীভাবে দিয়েছে তাও দেখা উচিত। বিষয়টি দেখব।

নয়া দিগন্ত
দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর ‘সাবেক ১০ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে (শ্যোন অ্যারেস্ট) আগামী ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল গতকাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো: শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো: মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন পেশ করেন। বর্তমানে অন্য মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা যাদের ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন, সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, গোলাম দস্তগীর গাজী, শাহজাহান খান, দীপু মনি, ফারুক খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক এলাহি, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া আলাদা আরেক আবেদনে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ ছয়জনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজিরেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদের ২০ নভেম্বর হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
 
বণিক বার্তা
দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘তহবিল ব্যয় সর্বনিম্ন সুদের হার সর্বোচ্চ’। খবরে বলা হয়, দেশের প্রথম সারির ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর (এমএফআই) তহবিলের বড় অংশই গ্রাহকদের সঞ্চয় ও ক্রমপুঞ্জীভূত উদ্বৃত্ত। এ কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিল সংগ্রহ ব্যয় খুবই কম। যদিও স্বল্প সুদের এ তহবিল থেকেই সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ সুদে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করছে তারা। উচ্চ সুদে নেয়া এ ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বড় ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন দেশের প্রান্তিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) সনদ নিয়ে বর্তমানে দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ৭৩১টি বেসরকারি ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান। পৃথক আইনে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকও এ ঋণ বিতরণ করে থাকে। এমআরএর বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত বছরের জুন শেষে দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের মোট তহবিলের আকার ছিল ৩৭ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৮ হাজার ৯৭ কোটি টাকাই ছিল গ্রাহকের সঞ্চয়। ১৪ হাজার ৩৯ কোটি টাকা ছিল ব্র্যাকের ক্রমপুঞ্জীভূত উদ্বৃত্ত। অলাভজনক না হলে উদ্বৃত্ত থাকা অর্থের পুরোটাই মুনাফার খাতায় নিতে পারত প্রতিষ্ঠানটি।

সে হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ব্র্যাকের মোট তহবিলের ৮৬ দশমিক ৭২ শতাংশই নিজস্ব উৎসের। বাকি ৪ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে নিয়েছে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্র্যাকের তহবিল ব্যয় ছিল মাত্র ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। যদিও প্রতিষ্ঠানটির পোর্টফোলিও ইল্ড ছিল ২৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ মাত্র ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশের তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করেছে তারা।

নিউ এজ
নিউ এজ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘No respite yet from banking sector woes’ অর্থাৎ ‘ব্যাংকিং খাতের দুর্দশা থেকে এখনো রেহাই পাওয়া যায়নি’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার পতনের পর ব্যাংকিং খাত স্থিতিশীল হবে বলে প্রাথমিকভাবে আশা করা হয়েছিল। তবে পরিস্থিতির খুব কমই উন্নতি হয়েছে।
এই খাতের মূল চ্যালেঞ্জগুলো সমাধানে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সামান্য। এ কারণে ব্যাংকিং খাত এখনও আস্থার সঙ্কটে ভুগছে। বছরের পর বছর ধরে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার জালে আটকে আছে। অনেক ব্যাংক এখনও আমানতকারীদের দাবি মেটাতে সক্ষম নয়, আমানতকারীদের আস্থা ক্রমাগত কমছে, এর ফলে তহবিল উত্তোলন বাড়ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, প্রায় ১০টি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার মুখে রয়েছে, যা গ্রাহকদের আতঙ্ককে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। সবাই টাকা উত্তোলন করতে ভিড় করছে বলেও জানান তিনি।

প্রথম আলো
প্রেসিডেন্টের অপসারণ দাবি নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘সাংবিধানিক সংকট চায় না বিএনপিসহ বিভিন্ন দল’। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের প্রশ্নে অন্যতম প্রধান দল বিএনপি আরও একবার শক্তভাবে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। গতকাল রোববার দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবিতে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়ায় গতকাল ১২-দলীয় জোট ও গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে ছিল এসব রাজনৈতিক দল।

গতকাল বিকেলে মালিবাগে ১২-দলীয় জোটের একটি দলের কার্যালয়ে এ বৈঠকে জোটটি রাষ্ট্রপতির অপসারণের প্রশ্নে বিএনপির বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করেছে। তারাও রাষ্ট্রপতির পদে শূন্যতা এনে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির পক্ষে নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকের পর ১২-দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে এবং নির্বাচন বিলম্বিত হবে। সেটি তাঁরা চান না। তাঁরা তাঁদের এই অবস্থান বৈঠকে জানিয়েছেন।

তবে শাহাদাত হোসেন এ-ও জানান, রাষ্ট্রপতির অপসারণের প্রশ্নে রাজনৈতিক ঐকমত্য না হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা সমাবেশসহ আন্দোলনের কর্মসূচি নেবেন বলেও তাঁদের জানিয়েছেন। বিএনপিসহ সব দল যদি বিষয়টিতে একমত হয়, তখন তাঁরাও তা বিবেচনা করবেন।

গণ অধিকার পরিষদও এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তের পক্ষে নয়। তারা ভিন্ন ধরনের প্রস্তাব দিয়েছে। দলটি জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠন করে তারপর রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ ও নতুন সংবিধান প্রণয়নসহ অন্যান্য বিষয়ে সমাধানের কথা বলেছে। গতকাল সন্ধ্যায় দলটির নেতাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা।

কালের কণ্ঠ
রাষ্ট্রপতির অপসারণ নিয়ে দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর ‘দলগুলোর কাছে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত চায় সরকার’। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত পেতে চাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল রবিবার বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির অপসারণ অনেক বড় একটি সিদ্ধান্ত। এটি নিয়ে তাড়াহুড়ার যেমন সুযোগ নেই, আবার বেশি দেরি করার সুযোগ নেই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে সরানোর পক্ষে ঐকমত্য তৈরির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

গতকাল তারা ১২ দলীয় জোট ও গণ-অধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে। গত শনিবার বৈঠক হয় বিএনপির নেতাদের সঙ্গে। গত শুক্রবার আলোচনা হয় জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে। এসব দলের মধ্যে শুধু বিএনপি এখনো একমত হয়নি।

গতকালও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপির অবস্থান তো আমরা এভাবে দেব না; আমাদের ফোরাম আছে, সেই ফোরামের মিটিং হবে, সেখানে আলোচনা করে আমাদের অবস্থান আমরা পরিষ্কার করব।’ কিন্তু কবে নাগাদ এই অবস্থান জানানো হবে তা স্পষ্ট করা হয়নি।
 
দেশ রূপান্তর
দৈনিক দেশ রূপান্তরের ‘নিজের শক্তি বোঝাচ্ছে বিএনপি’। খবরে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপি বড় দল হিসেবে নিজের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি জানান দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গত দেড় দশক আন্দোলন করে আসা দলটিকে কোনোভাবেই যে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়, তা আওয়ামী লীগের আমলেও জানান দিয়েছে দলটি।

সম্প্রতি রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের ইস্যু ঘিরে বিএনপির অবস্থানও বলছে, বিএনপিকে বাদ দিয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায় না। নির্বাচন ও সংস্কারের প্রশ্নেও দলটি তার প্রত্যাশা স্পষ্ট করেছে। দলটির নেতারা বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, ততটা সম্পন্ন করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়া হোক। অন্য যেসব সংস্কার সেটা নির্বাচিত সরকার করবে। বিএনপির নিজেরও ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি রয়েছে।

আজকের পত্রিকা
‘পুঁজি যাচ্ছে, ক্ষোভ বাড়ছে’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিনের অনিয়মের বলি দেশের পুঁজিবাজার। এখন এর খেসারত দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। লাগাতার দরপতনে পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা তাঁরা। গত আড়াই মাসে ১৭ শতাংশ সূচক পতনের সঙ্গে পুঁজিবাজারের মূলধন কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। পুঁজি হারানোর এই মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রক ও কর্তৃপক্ষের তরফে পর্যাপ্ত বা দৃশ্যমান উদ্যোগ না দেখে ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।

এ পরিস্থিতিতেও আশার কথা বলছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেশ লম্বা সময় ধরে পুঁজিবাজার পতনমুখী রয়েছে। গত ১৫ বছরের মধ্যে বাজার এখন অবমূল্যায়িত। অন্যদিকে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যস্ফীতি অনেকটা কমে এসেছে। সামগ্রিক অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে। এসবের সঙ্গে পুঁজিবাজারও দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে। এই জায়গায় শেয়ার কেনার চাপ আসবে। বিদেশি বিনিয়োগও আসবে।’

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স