এসিসি ইমার্জিং এশিয়া কাপে কী দারুণ সফরই না কাটল আফগানিস্তান ‘এ’ দলের! গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকে হারানো দলটি সেমিফাইনালে রানের পাহাড় গড়ে হারিয়ে দেয় ভারতকে। শিরোপার লড়াইয়েও আফগানদের দেখা গেল একই ছন্দে। আসরে দ্বিতীয়বারের মতো লঙ্কান ‘এ’ দলের মুখোমুখি হওয়া আফগানিস্তান আবারও ওড়াল বিজয় নিশান। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আসর শুরু, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েই শিরোপা জিতল তারা।
রোববার (২৭ অক্টোবর) ওমানের আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আফগানিস্তান। তাদের জাতীয় দল গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলে। এবার ‘এ’ দলও সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটের নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করল। প্রথমবারের মতো এবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আয়োজন করা হয় ইমার্জিং এশিয়া কাপ, আফগানরাও আসরটিতে জিতল প্রথম শিরোপা।
অবশ্য জয়ের কাজটা শুরুতেই করে রেখেছিলেন তার সতীর্থ বোলাররা শ্রীলঙ্কাকে ১৩৩ রানে অলআউট করে। তবে শুরুটা ভালো ছিল না আফগানিস্তানের। ১৩৪ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় তারা।
সাহান আরচ্চিগের বলে ‘গোল্ডেন ডাকে’ ফেরেন ওপেনার জুবাইদ আকবরি। তবে পুরো টুর্নামেন্টে বোলারদের তুলাধোনা করা সেদিকউল্লাহ অটল নিজের কাজটা ঠিকই করে যান। আগের চার ম্যাচের প্রতিটিতেই ফিফটি করা বাঁহাতি ওপেনার আজও হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। তার ৫৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে আফগানরা। সব মিলিয়ে এবারের আসরে ৫ ম্যাচে ৫ ফিফটিতে ৩৬৮ রান করেছেন সেদিকউল্লাহ। ১২২.৬৬ গড়ে বলা যায় একাই আফগানদের চ্যাম্পিয়ন করেছেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে অবশ্য ডারইউশ রাসুলি (২৪) ও করিম জানাতের (৩৩) ইনিংস দুটিরও গুরুত্ব কম ছিল না।
এর আগে আল আমেরাতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং ধসে পড়ে শ্রীলঙ্কা। মাত্র ১৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে লঙ্কানরা। সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামলান পবন রত্নায়েকে ও সাহান অরাচ্চিগে।
ব্যক্তিগত ২০ রানে রত্নায়েকে বিদায়ের পর শ্রীলঙ্কাকে একাই টেনে নেন সাহান। যখন দলীয় রান এক শ নিয়েই শঙ্কা ছিল, তখন দলকে ১৩৩ রানের সংগ্রহ এনে দেন বাঁহাতি ব্যাটার। ষষ্ঠ উইকেটে তাকে অবশ্য যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন নিমেশ ভিমুক্তি (২৩)। দুজনে মিলে দলের খাতায় ৪২ রান যোগ করেছেন। সাহান ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংসটি খেলেছেন ৬ চারে। শ্রীলঙ্কাকে শুরুতেই ধসিয়ে দেওয়া বিলাল সামি নিয়েছেন ২২ রানে ৩ উইকেট।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন গজনফর আর ম্যান অব দ্য সিরিজ সেদিকউল্লাহ।
ঠিকানা/এনআই