অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এক হয়েছিল প্রবাসের ঐতিহ্যবাহী ও অন্যতম বড় আঞ্চলিক সংগঠন চট্টগ্রাম সমিতি। দীর্ঘদিন পর স্বতঃস্ফূর্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনও হয়েছে গত ২০ অক্টোবর রোববার। নির্বাচন শেষে ফল ঘোষণা হবে এটাই স্বাভাবিক। যেখানে জয়-পরাজয়ও থাকবে। কিন্তু দিন শেষে ৬টি ভোট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ায় ভোটের ফলাফল আটকে গেছে। আর এ নিয়ে যে ধরনের জটিলতা শুরু হয়েছে তাতে যে কোনো একপক্ষ ছাড় না দিলে নিশ্চিত আবার ভাঙনের পথে ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনটি।
ইতিমধ্যে ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতিদ্বন্দ্বী মাকসুদ-মাসুদ এবং তাহের-আরিফ প্যানেল। সংবাদ সম্মেলনে চ্যালেঞ্জ ভোট নিয়ে দুই প্যানেলই বিপরীত অবস্থানের কথা জানান দিয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্তই নিক না কেনো, কোনো একটা প্যানেল ছাড় না দিলে পরিস্থিতি জটিল দিকে মোড় নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিউইয়র্কে দুটি, পেনসিলভেনিয়ায় একটি এবং কানেকটিকাটে একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। কিন্তু ৬টি চ্যালেঞ্জ ভোটের কারণে প্রাথমিক বা চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। এই চ্যালেঞ্জ ভোটের মধ্যে ফিলাডেলফিয়া কেন্দ্রে ৪টি এবং জ্যামাইকা ও ব্রুকলিন কেন্দ্রে একটি করে ভোট রয়েছে। ফলে চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণায় দেখা দেয় জটিলতা। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন চ্যলেঞ্জ ভোট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চুড়ান্ত বা প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা না করে অন্তর্বর্তী ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের প্রার্থীরা সভাপতি পদসহ ১৩টি পদে এবং তাহের-আরিফ প্যানেলের প্রার্থীরা সাধারণ সম্পাদক পদসহ ৬টি পদে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু চ্যালেঞ্জ ভোটের কারণে ফল ঘোষণা করা যাচ্ছে না।
মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন : নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মাকসুদুল হক চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০ অক্টোবর রোববার চারটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে একটি ব্রুকলিনে, একটি কুইন্সের জামাইকাতে এবং বাকী দুইটির মধ্যে একটি কানেক্টিকাটের স্ট্যামফোর্ডে এবং অন্যটি পেনসিলভেনিয়ার আপার ডারবিতে। নিউইয়র্কে ভোট শুরু হয় সকাল নয়টায় এবং শেষ হয় সন্ধ্যা সাতটায়। নিউইয়র্কের বাইরের স্টেট গুলোতে শুরু হয় সকাল দশটায় এবং শেষ হয় বিকাল ৬টায়। ভোট গ্রহণ শেষ করে প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফল কেন্দ্রভিত্তিক ঘোষণা করা হলেও চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করার ক্ষেত্রে গড়িমসির করা হয়। নিউইয়র্ক নিউজার্সি, কানেকটিকাট ও পেনসিলভেনিয়াসহ বিভিন্ন স্টেট থেকে শতশত চট্টগ্রামবাসী যখন চুড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, ঠিক তখনি বলা হলো পেনসিলভেনিয়াতে চারটি চ্যালেঞ্জ ভোট রয়েছে এবং ঐ ভোটগুলো গণনা করতে হবে। চারটি ভোট যারা দিয়েছেন তারা আইডি দেখাতে পারেননি। তাই চ্যালেঞ্জ ভোট হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। তখন শতশত চট্টগ্রামবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আমাদের অপেক্ষার পালা বেড়ে যেতে থাকে। রাত তখন আনুমানিক ১১ টার কাছাকাছি তখন ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে দেখতে পেলাম নির্বাচন কমিশনার ফলাফল ঘোষণা করছেন এবং ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী সভাপতিসহ মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের ১৩ জন প্রার্থী এবং সাধারণ সম্পাদকসহ তাহের-আরিফ প্যানেলের ৬ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তখন শতশত চট্টগ্রামবাসী বিজয় উৎসব করতে থাকেন এবং মিছিল সহকারে পুরো চার্চ ও ম্যাকডোনাল্ড এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। কিন্তু পরক্ষণেই জানতে পারলাম গুটিকয়েক ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনকে ঘিরে ধরেছে এবং বলেছে এই নির্বাচনের ফলাফল তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারণ তারা চান পেনসিলভেনিয়াতে অবৈধভাবে গ্রহণ করা চারটি ভোট গণনা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নির্বাচন শেষ হয়েছে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে যাচ্ছে। এখনো নির্বাচন কমিশন চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেনি, যা উত্তর আমেরিকার সকল চট্টগ্রামবাসীকে চরমভাবে হতাশ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়- নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত বিধিমালাতে স্পটভাবে বলা আছে নো আইডি নো ভোট। প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে বিশাল আকারে একাধিক সাইন ছিল। তাহলে আইডি ছাড়া ভোটগ্রহণ কি করে সম্ভব? নির্বাচন কমিশন নিজেরাই নিজেদের দেয়া বিধিমালা ভঙ্গ করেছে, যা আজকে উত্তর আমেরিকার সকল চট্টগামবাসীকে বিক্ষুব্ধ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, দীর্ঘ দশ বছর চট্টগ্রাম সমিতিতে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। গত ৮ বছর মোটেই কোনো নির্বাচন হয়নি। চট্টগ্রামবাসী অনেক ত্যাগ ও শ্রমের বিনিময়ে সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে দীর্ঘদিনের গ্রুপিং বন্ধ করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠিত করেছিল। এই কমিটি দীর্ঘ ১৮ মাস কাজ করেছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনটিকে গতিশীল করার জন্য। এই কমিটি দ্বারা গঠিত নির্বাচন কমিশন শপথ নেয়ার পর থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য আরেকজন কমিশনার কোন না কোন অজুহাতে নির্বাচন না করার চেষ্টা করে আসছিল। কখনো তারা বাদ পড়া সদস্যকে নেয়ার জন্য গো ধরে, কখনো তারা লটারির মাধ্যমে কমিটি নির্ধারনের প্রস্তাব দেন। এ ধরনের অনৈতিক কাজের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সমিতির ইতিহাসে আর কোন নির্বাচন কমিশন ছিল না। এই নির্বাচন কমিশনার ৫ মাসেরও বেশী সময় নিয়ে নির্বাচন করেছে। তাদের এত সময়ক্ষেপণ করার পরও অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে পুনরায় প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য প্যানেলের আজ্ঞাবহ আরেকজন নির্বাচন কমিশনার নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। আমরা গত দুদিন ধরে অপেক্ষা করেছি নির্বাচন কমিশনারের ঘোষণা শোনার জন্য। কিন্তু কোন ঘোষণা চট্টগ্রামবাসী এখনো শুনতে পায়নি।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নিউইয়র্কের দুটি কেন্দ্র এবং কানেকটিকাটের ভোটের ব্যবধান দেখলে বুঝতে পারবেন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে কীনা। অথচ পেনসিলভেনিয়ার কেন্দ্রে ভোটের ব্যবধান দেখলে অনায়াসে বোঝা যায় ঐ কেন্দ্রে জোর যার মুল্লুক তার ফর্মুলা ব্যবহার করা হয়েছে। ঐ কেন্দ্রে ভোট নেওয়ার ক্ষেত্রে নির্ধারিত আইডি এবং ভোটার লিস্টের সঠিক তথ্য দেখা হয়নি। ফলে প্রচুর জাল ভোট হয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের এজেন্ট এবং কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত প্রিসাইডিং অফিসার শত চেষ্টা থাকা স্বত্ত্বেও নিউইয়র্ক থেকে নির্বাচন কমিশনারের হস্তক্ষেপে বার বার তারা ব্যর্থ হয়েছেন। সর্বশেষ আইডিবিহীন ভোট গ্রহণ তার চুড়ান্ত প্রমাণ। আরো উল্লেখ্য যে চট্টগ্রাম সমিতি পাঁচজন নির্বাচন কমিশনার নির্বাচিত করেছেন সব কয়টি কেন্দ্রে, যেন তারা যেতে পারেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় পাঁচজন নির্বাচন কমিশনার চারটি কেন্দ্রে সঠিক মত দায়িত্ব পালন না করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার ব্যর্থতার নজির স্থাপন করেছেন। চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচনের ইতিহাসে এই প্রথম কোন নির্বাচন কমিশন ছাড়া দুটি কেন্দ্রে নির্বাচন হয়েছে। কেন এমন করা হয়েছে তার জবাবও চট্টগ্রামবাসী চায়।
সংবাদ সম্মেলন অভিযোগ করা হয়, মেশিনের যে ফলাফল এবং নির্বাচনের দিন কমিশনের পক্ষ থেকে যে ফলাফল আমাদেরকে হস্তগত করা হয়েছে তাতে আমরা বেসরকারিভাবে ১৩টি পদে জয়ী হয়েছি। অপর প্যানেল ৬টি পদে জয়ী হয়েছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করতে চাই চট্টগ্রামবাসী দির্ঘদিন ভোট দিতে পারেনি এবং গত ২০ অক্টোবর অনেক উৎসাহভাবে ভোট দিয়েছেন। সুতরাং মানুষের দেয়া গণতান্ত্রিক রাত পরিবর্তনের কোন রকম চেষ্টা করবেন না। অতিসত্ত্বর এই অবৈধ ভোট বাতিল করে চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে চট্টগ্রামবাসীদের সংকেটর মুখে ঠেলা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। অন্যথায় এর দায় দায়িত্ব প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে সারা জীবন বহন করতে হবে।
তাহের-আরিফ প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন : গত ২০ অক্টোবর রোববার অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা ইনকের নির্বাচনের দিন একটি কেন্দ্রে কিছু ছোটখাটো বিষয়কে আমলে না নিলে সর্বাঙ্গীনভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। মোট ভোটারদের ৭২ শতাংশ ভোটার উৎসাহ উদ্দীপনার ভেতরে দিয়ে ভোট দিয়েছেন। কুইন্স এবং ব্রুকলিন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সকাল নটায় শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা সাতটায়। ফিলাডেলফিয়া এবং কানেকটিকাট কেন্দ্রে সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হলেও ফলাফল ঘোষনার ক্ষেত্রে কয়েকটি পদে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে ফলাফল ঘোষণা স্থগিত হয়ে যায়। নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণা না করে শুধুমাত্র কোন কেন্দ্রে কতো ভোট সংগৃহীত হয়েছে সেই সংখ্যাটি প্রকাশ করেন। তিনটি কেন্দ্রে ছয়টি চ্যালেঞ্জ ভোট ফলাফল বিবেচনায় ফ্যাক্টর হয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে তাহের-আরিফ প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পক্ষে কামাল হোসেন মিঠু ও জাহাঙ্গীর আলম জানান, মোট চারটি কেন্দ্রে ভোটের ফলাফলে সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ এবং দপ্তর সম্পাদক পদে তাহের-আরিফ প্যানেলের প্রার্থীরা মাত্র দুই থেকে তিন ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও এখনো প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাননি। নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ ভোটের বিধান রয়েছে। যে কোনো যৌক্তিক কারণে একটি ভোটকে চ্যালেঞ্জ ভোট হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এটি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার এবং নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের যৌথ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে চ্যালেঞ্জ ভোট হিসেবে গ্রহণ করা হয়। রোববারের নির্বাচনে ছয়টি চ্যালেঞ্জ ভোট গ্রহণ করা হয়। তিনটি পদে ভোটারের পার্থক্য দুই অথবা তিনজন। সুতরাং ছয়টি চ্যালেঞ্জ ভোট নির্বাচনী ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা প্রকাশ করলেও চ্যালেঞ্জ ভোটের সংখ্যার এবং ভোটের পার্থক্যের সংখ্যা ফ্যাক্টর হবার কারণেই ফাইনাল রেজাল্ট ঘোষণা করেনি। এখানে উল্লেখ্য যে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ২১টি চ্যালেঞ্জ ভোট হয়েছিলো এবং সেই নির্বাচনেও ভোটের পার্থক্যের সংখ্যা চ্যালেঞ্জ ভোটের সংখ্যার চাইতে কম হওয়াতে বর্তমান সভাপতি প্রার্থী মোহাম্মদ আবু তাহের চূডান্ত ভোট গণনায় তখন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এবারের নির্বাচনে তাহের-আরিফ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মোহাম্মদ আবু তাহেরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাকসুদুল হক চৌধুরীর ভোট সংখ্যার পার্থক্য মাত্র দুই ভোট। গণনার অপেক্ষায় রয়েছে ছয় ভোট। একই অবস্থা বিরাজ করছে কোষাধ্যক্ষ এবং দপ্তর সম্পাদক পদেও। আমরা মনে করি- এই ছয়টি ভোট সঠিকভাবে গণনা করা হলে আমাদের প্রার্থী বিজয়ী হবেন। পাশাপাশি অন্যান্য পদেও প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যার ধনাত্বক তারতম্য হবে। নির্বাচন কমিশন প্রায় আটচল্লিশ ঘণ্টার কাছাকাছি সময় অতিবাহিত হলেও এখনে পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোন ফল ঘোষণা করেননি। এই বিলম্বের সুযোগ নিয়ে একটি মহল গায়ের জোরে, হাস্যকরভাবে নানা মাধ্যমে তাদের কিছু প্রার্থীকে বিজয়ী বলে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং চট্টগ্রামবাসীর আমানতের প্রতি চরম প্রতারণা। এমতাবস্থায় আমরা অনতিবিলম্বে জনগনের আমানতের প্রতিটি ভোট, মেশিনে এবং ব্যালটে, চ্যালেঞ্জ ভোটসহ পূর্ণাঙ্গ একটি গণনার মাধ্যমে ফলাফল ঘোষণার জোর দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ফেসবুকে নানারকম অপপ্রচার চালানো হচ্ছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে। চট্টগ্রামবাসীকে যে কোন ধরনের মিথ্যা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ফলাফল ঘোষণা না করা পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন যা বলছে : নির্বাচনে ফল ঘোষণা নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের মুখপাত্র শাহাব উদ্দীন সাগর ঠিকানাকে জানান, যে ছয়টি ভোট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সে ব্যাপারে শিগগির বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন। সেখানে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, বিধি অনুযায়ী আইডি ছাড়া কোনো ভোট গ্রহণ করা হয়নি। ভোট গ্রহণের মেশিন কোম্পানিও নির্বাচনী বিধি শতভাগ অনুসরণ করেছে।
যে ফলই ঘোষণা করা হোক- কোনো এক পক্ষ না মানলে ভাঙনের পথে যেতে পারে চট্টগ্রাম সমিতি। এতে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায় আছে কীনা? জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার সাগর বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কিছুই করার নেই।