ঘরের মাটিতে চলছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি। আগামী ২ নভেম্বর শেষ হবে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। এরপরই আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। যদিও এই সফরটি হওয়ার কথা ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরপরই। কিন্তু ঠাসা সূচির কারণে দুই বোর্ডের মধ্যস্ততায় স্থগিত হয়ে যায় সিরিজটি। যদিও কিছুদিন পর আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) জানায়, অ্যাওয়ে সিরিজে আফগানদের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। সে অনুসারে আগামী ৬ নভেম্বর থেকে দুই দল তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে।
সিরিজটি অ্যাওয়ে হলে খেলা হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। তিনটি ম্যাচই হবে অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ স্টেডিয়ামে। ইতোমধ্যে সেই সিরিজকে কেন্দ্র করে ২২ অক্টোবর (মঙ্গলবার) শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান। তবে এই সিরিজে সবচেয়ে আলোচনার বিষয় সাকিব আল হাসানের অংশগ্রহণ। কেননা মিরপুরে চলমান টেস্ট ম্যাচটি দিয়ে এই ফরম্যাটে নিজের ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চেয়েছিলেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে শেষ পর্যন্ত তিনি আসতে পারেননি।
তাই এখন আলোচনায় যেহেতু সিরিজটি হবে দেশের বাইরে আর ওয়ানডে ফরম্যাটে সেক্ষেত্রে সাকিব দলে থাকবেন কিনা? এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বিসিবির নির্বাচক কমিটির একজন সদস্য বলেন, বিসিবি যদি সাকিবের দলে উপস্থিতি থাকার বিষয়ে জানায় তাহলে রাখব আমরা।
সূচি অনুযায়ী আগামী ৬ নভেম্বর হবে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি। এরপর ৯ নভেম্বর দ্বিতীয় ও ১১ নভেম্বর হবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ। বিসিবির পক্ষ থেকে মালেশিয়ার কুয়ালালামপুরে সিরিজটি আয়োজনের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানের বর্তমান হোম ভেন্যু আরব আমিরাতেই আয়োজন করা হবে সিরিজটি।