শেখ হাসিনা শুধু নিজেই ডোবেননি, পঁচাত্তর বছরের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকেও ডুবিয়েছেন। তিনি তাঁর মহান পিতা শেখ মুজিবুর রহমানেরও সম্মানহানী করেছেন। বিগত শেখ হাসিনা সরকারকে সতর্ক করে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি না করতে বলেছিলাম। তারা ভ্রুক্ষেপ করেননি। আজ আমার কথার সত্যতার প্রতিফলন ঘটেছে।
গত ১৩ অক্টোবর এস্টোরিয়ায় একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।
মতবিনিময় সভার প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লুর। সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সোলায়মান ভূঁইয়া। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ফজলুর রহমান বলেন, আমার নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশে সবচেয়ে সম্মানিত নেত্রী। বর্তমানে বাংলাদেশে তাঁর ইমেজের ধারেকাছেও কোন রাজনীতিবিদ নেই।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, তিনি আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি ম্যাচিউরড।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন ভূঁইয়া, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধক্ষ জসীম ভূঁইয়া, সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ।
অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন মোহাম্মদ খলকুর রহমান, মোহাম্মদ রিপন মিয়া, সাইদুর খাঁন ডিউক, নিউইয়র্ক স্টেট জাসাসের সভাপতি মো. জাবেদ উদ্দিন, মোহাম্মদ নূরে আলম, জামালুর রহমান চৌধুরী, সুলতান আহমদ ভূঁইয়া।
যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আতিকুল আহাদের সঞ্চালনায় মতবিনময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক মহানগর (উত্তর) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ চৌধুরী, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর খাঁন (হারুন), বিএনপি নেতা মুহিবুর রহমান।
আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা খোরশেদ আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক নেতা তোফায়েল চৌধুরী লিটন, বিএনপি নেতা এবাদ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, নাসিম আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাবেক সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী, মোতাহার হোসেন, চৌধুরী সালেহ, রিয়াজ মাহমুদ, সোয়েব আহমদ, চৌধুরী সালেহ, এমদাদ রহমান তরফদার, তোফায়েল আহমদ, সোহাগ আফছার, কয়েছ আহমদ, হোসেন আহমদ, ময়নুল হক চৌধুরী, মোশারফ হোসাইন, শরিফুল খালিশদার, শামীম মাহমুদ, সোহেল আহমদ, আলমগীর হোসেন, আব্দুল আলম, আজিজুল হক, আজম, মুনির প্রমুখ।
কিশোরগঞ্জ ডিস্ট্রিক্ট অ্যাসোসিয়েশনের সংবর্ধনা : বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে সংবর্ধনা দিয়েছে কিশোরগঞ্জ ডিস্ট্রিক্ট অ্যাসোসিয়েশন।
সংবর্ধনার জবাবে তিনি বলেন, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে হবে। আর জনগণের ভোটে নির্বাচিত সেই সরকার দেশ পরিচালনা করবে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের রায়ই হলো শেষ কথা।
গত ১৩ অক্টোবর জ্যামাইকায় একটি পার্টি হলে তার সম্মানে এ সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়।
ফজলুর রহমান সাম্প্রতিক আলোচিত বিষয় জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা পরিবর্তন প্রসঙ্গে বলেন, কারো কথায় এই পরিবর্তন সম্ভব নয়। কেবলমাত্র ভোটের মাধ্যমে, জনগণের ম্যান্ডেটের মাধ্যমেই এটি সম্ভব। অর্থাৎ কোন দল যদি নির্বাচনী ইশতেহারে বলে, আমরা এগুলো পরিবর্তন করতে চাই, আর জনগণ যদি তাদের দুই-তৃতীয়াংশ আসনে নির্বাচিত করেন, তাহলেই সেটি সম্ভব। এর বাইরে কোন পরিবর্তন সম্ভব নয়।
কিশোরগঞ্জ ডিস্ট্রিক্ট অ্যাসোসিয়শনের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ এবাদুল হকের সভাপতিত্বে এবং উপদেষ্টা কামরুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়শনের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান এবিএম ওসমান গণি, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য মুজিবুর রহমান দুলাল, প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, বেলাল হোসেন, সাইদুর রহমান ডিউক, সাবেক অধ্যক্ষ মুক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, উপদেষ্টা মনজুর হোসেন চুন্নু, ভাইস প্রেসিডেন্ট যুবায়ের আহমেদ রানা, সালাহ উদ্দিন, শামীম উদ্দিন নাসের প্রমুখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ পাল, সহ-সম্পাদক কামাল উদ্দিন, নারীবিষয়ক সম্পাদক জাকিয়া খান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. মাহফুজুল হক, যুববিষয়ক সম্পাদক মকবুল হোসেন, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক তাসরিনা চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য লুবনা শারমীন মমি, ফারজানা ইসলাম, আবুল বাশার, তোফাজ্জল হোসেন, হানিফ সরকার, ওমর ফারুক প্রমুখ।