Thikana News
২১ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

দুষ্ট সিন্ডিকেট করেছিল বাণিজ্যমন্ত্রী ও তার চেলারা : জামায়াতের আমির

দুষ্ট সিন্ডিকেট করেছিল বাণিজ্যমন্ত্রী ও তার চেলারা : জামায়াতের আমির বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
এখনো বাজার সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, বাজারের ওই দুষ্ট সিন্ডিকেট করেছিল বাণিজ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তার চেলা চামুণ্ডারা।

জামায়াত আমির বলেন, গত ৫ আগস্ট দেশের ছেলেরা নতুন করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে হলে সিন্ডিকেট ভেঙে চুরমার করে দিতে হবে।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ ছিল মজলুম, রাস্তায় যিনি ভিক্ষা করতেন তিনিও মজলুম। কারণ ওই সব ভিক্ষুককে চাঁদা দিতে হতো গুণ্ডাদের কাছে। সারাদিনের ভিক্ষার টাকা দিয়ে সংসার চলত না। কারণ ৩০ টাকার পেঁয়াজ ৩০০ টাকায় কিনতে হতো।

১৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ. টি. এম. মাসুম।

ডা. শফিকুর রহমান জানান, তারা এমন একটি দেশ চান, যে দেশ অন্য কোনো শক্তি বা দেশের অধীনতা মেনে নেবে না। পৃথিবীর অন্য দশটি দেশ যেমন মর্যাদার সাথে বিশ্বের সামনে মাথা উচু করে দাঁড়ায়, বাংলাদেশও তার শির উঁচু করে দাড়াবে ইনশাআল্লাহ। বিদেশে বাংলাদেশের বন্ধু থাকবে, কিন্তু কোনো প্রভু তারা মেনে নেবে না এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, কেউ বাংলাদেশের উপর প্রভুত্ব করতে আসলে জাতি তার সঠিক জবাব বুঝিয়ে দেবে।

কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছর একটি দলের উপর যে জুলুম করা হয়েছে বাংলাদেশের অন্য কোনো দলের ওপর সে জুলুম করা হয়নি। কিন্তু জামায়াত আগেই জানিয়েছে তারা কারও ওপর প্রতিশোধ নেবে না। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে যিনি অপরাধ করেছেন তাকে তার অপরাধের শাস্তি পেতে হবে, আইন কেউ নিজ হাতে তুলে নেবে না বলেও মন্তব্য করেন জামায়াতের আমির।

বিচার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন, তারা এমন একটি সমাজ চান যেখানে একজন বিচারপ্রার্থীকে আদালত প্রাঙ্গণে হয়রানি হতে হবে না। কোনো বিচারক তার আসনে বসে আল্লাহকে ছাড়া আর কোনো রাষ্ট্রশক্তিকে পরোয়া করবে না, রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী বিচারকাজ পরিচালনা করবে। বিচারক ঘুষ খায়-এ লজ্জাজনক কথা আর তারা শুনতে চান না।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম বলেন, হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে বৃহত্তর কারাগার বানিয়ে মানুষের সব অধিকার হরণ করেছিল। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে দেশ মুক্ত হয়েছিল।

তিনি বলেন, ইসলাম হচ্ছে আমাদের জীবনের একমাত্র  আদর্শ। আমাদের ব্যাক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক,  রাজনীতি ও অর্থনীতিসহ জীবনের সব অংশেই ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো আদর্শ মানা যাবে না। আর পূর্ণাঙ্গ ইসলাম মানার একমাত্র ক্ষেত্র হচ্ছে ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা। সেক্যুলার বা অন্য কোনো মানবরচিত আদর্শে গড়া রাষ্ট্র ব্যবস্থায় থেকে পরিপূর্ণভাবে ইসলাম মানা সম্ভব হবে না। সেক্যুলারপন্থিরা অপপ্রচারের মাধ্যমে মানুষের মনে ইসলাম ফোবিয়া ঢুকিয়ে দিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, জামায়াতের কর্মীদেরকে উন্নত চরিত্র ও সুন্দর ব্যবহার দিয়ে সেই ফোবিয়া দূর করতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতের আমীর গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মলনে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের টিম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের টিম সদস্য সাবেক জেলা আমির অধ্যক্ষ কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, জেলা নায়েবে আমির কাজী ইয়াকুব আলী, জেলা সেক্রেটারি মুহা. মোবারক হোসাইন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডা. নোমান মিয়া, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম ভূইয়া প্রমুখ।


ঠিকানা/এএস 

কমেন্ট বক্স