দেশের নদীপথে নৌযানের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনকল্পে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দেশের আমদানি ও রপ্তানীকৃত ৮০ ভাগ পণ্য স্বল্প খরচে নৌপথে পরিবাহিত হয়। দেশের অর্থনীতিতে এ সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নৌপরিবহন শিল্পকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে নৌপথে পণ্য পরিবহনে তথাকথিত মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক দ্রুততম সময়ে পণ্য পরিবহন নীতিমালা, ২০২৪ জারি করা হবে। একই সাথে এই নীতিমালার যাতে সঠিক প্রয়োগ হয় সেটিও নিশ্চিত করা হবে। আজ ১৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠকে এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকার নৌপরিবহন শিল্পের বিকাশ ও সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে দেশের সকল সিস্টেম ভেঙ্গে পড়েছে। নৌপরিবহন সেক্টরেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীর্ঘদিনের প্রচলিত সিরিয়াল প্রথাকে ভেঙ্গে একতরফা পণ্য পরিবহন করে নৌ সেক্টরে এক অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। এ সময় তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্দরসহ নৌ সেক্টরে বিদ্যমান সমস্যার সমাধানকল্পে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নৌপথে ফিটনেসবিহীন ভেসেল সম্পর্কে তিনি বলেন, ফিটনেসবিহীন নৌযানগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে কোস্ট গার্ডকে এ সকল নৌযানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে নির্দেশনা দেয়া হবে। বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিবৃন্দ নৌপরিবহন উপদেষ্টাকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা, ২০২৪ দ্রুত জারি ও প্রয়োগ করার অনুরোধ জানান। তাঁরা আশা প্রকাশ করে বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নৌপরিবহন অধিদপ্তরসহ সকল বন্দর কর্তৃপক্ষের সমন্বিত উদ্যোগে নৌ সেক্টরে নবদিগন্তের শুভসূচনা ঘটবে।
বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) দেলোয়ারা বেগম, বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাঈদ আহমেদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঠিকানা/এএস