তাইওয়ানকে আরো ৩৪ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সামরিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এটিই হবে জো বাইডেনের আমলে চীনকে প্রতিহত করার জন্য স্বশাসিত দ্বীপটিকে দেয়া সবচেয়ে বড় সহায়তা। খবর : এপি। হোয়াইট হাউজ এক ঘোষণায় জানায়, এ অর্থ তাইওয়ানিজদের জন্য প্রতিরক্ষা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যয়ে ব্যবহার হবে। ওয়াশিংটন সেখানে ম্যান-পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বা ম্যানপ্যাড পাঠাবে। পাশাপাশি গোয়েন্দা ও নজরদারি সহায়তা, আগ্নেয়াস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে দুই মার্কিন কর্মকর্তা।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা পেন্টাগন ও হোয়াইট হাউজকে তাইওয়ানে অস্ত্র সহায়তা আরো বাড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। তাদের উদ্দেশ্য দেশটি যেন চীনকে প্রতিহত করতে পারে এবং বেইজিংও যেন তাইওয়ানে আক্রমণ করার আগে বারবার বিবেচনা করে। সব মিলিয়ে তাইপেইকে যথেষ্ট পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র চায় আক্রমণ করলে চীনকে যেন অনেক বেশি দাম চুকাতে হয়। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে তাদের নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় প্রত্যয়ের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে। এর আগে তাইওয়ানে ভাণ্ডারে যুক্ত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজার ৯০০ কোটি ডলারের এফ-১৬ ও অন্যান্য বড় বড় অস্ত্র। তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে এবারের সহায়তা।
১৯৪৯ সালে চীন থেকে আলাদা হয়ে যায় তাইওয়ান। প্রয়োজনে জোর খাটিয়ে হলেও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এখনো স্বায়ত্বশাসিত দ্বীপটি নিজেদের অধিকারে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর চীনের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্র বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করে তাইওয়ানকে ‘পাউডার কেগ’ বা গানপাউডারের খনি হিসেবে গড়ে তুলছে।
ঠিকানা/এম