স্ত্রীকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন নওশাদ। কিন্তু বছর দেড়েক আগে তিনি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। জলজ্যান্ত একটি মানুষ আচমকা উধাও হয়ে যাওয়ায় নওশাদের পরিবারের সন্দেহ হয় তার স্ত্রী আফসানার ওপর। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে আফসানাকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ।
আফসানা পুলিশকে জানান, স্বামী নওশাদকে খুন করে তার মরদেহ পুঁতে রেখেছেন। কিন্তু আফসানার দেখানো জায়গায় নওশাদের মরদেহ পায়নি পুলিশ। তারপর কেটে যায় দেড় বছর। জেল থেকে ছাড়া পান আফসানা। কিন্তু তার স্বামী নওশাদ গেলেন কোথায়?
আবারও পুলিশের দ্বারস্থ হয় নওশাদের পরিবার। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত গত ২৬ জুলাই বুধবার একটি সূত্র জানায়, ১৩০ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামে নওশাদের মতো এক ব্যক্তিকে দেখা গেছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সেই গ্রামে অভিযান চালায়। আর উদ্ধার করে নওশাদকে।
ঘটনাটি ভারতের কেরালার পাথানামথিত্তা জেলার। পাথানামথিত্তা থেকে পালিয়ে ইদুকি জেলার থোরুপুঝাতে লুকিয়ে ছিলেন নওশাদ।
পুলিশ জানায়, হাতেনাতে ধরা পড়ে ভ্যাবাচেকা খেয়ে যান নওশাদ। তিনি বলেন, স্ত্রী আফসানার ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে পাশের জেলায় আত্মগোপন করেছিলেন। তার অভিযোগ, আফসানা প্রায়ই তাকে লোক ডেকে মারধর করাতেন। স্ত্রীর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতেই পালিয়ে যান তিনি।
এদিকে নওশাদকে উদ্ধারের পর তার স্ত্রী আফসানাকে ডেকে পাঠানো হয় থানায়। পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
ঠিকানা/এনআই