লেবাননে একের পর এক অতর্কিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপানসহ অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে। লেবানন জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলার কারণে এরইমধ্যে ১০ লাখের বেশি লেবানিজ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। নিহত হয়েছে দুই হাজারের বেশি।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ইতোমধ্যে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে প্রায় তিন হাজার বাংলাদেশি তাদের কর্মস্থল ছেড়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন বাংলাদেশি।
লেবাননে থাকা ২৬ বছর বয়সী মিরাজ মাহমুদ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমে জানান, দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েল হামলা শুরু করার পর অন্য ৩০ জন বাংলাদেশির সঙ্গে তিনি দক্ষিণ লেবাননের নাভাতিয়া অঞ্চল ছাড়েন। তারা অপেক্ষাকৃত শান্ত সাইদা এলাকায় একটি আশ্রয়শিবিরে আরও ২২০ জনের সঙ্গে আছেন।
২০১৭ সালে লেবাননে পাড়ি জমানো নোয়াখালির ওই যুবক জানান, আমরা এখন যেখানে আছি সেখানে এখন পর্যন্ত হামলা না হলেও এই এলাকাতেও যে হামলা হবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে রাব্বোল শেখ অন্যতম। তারা লেবাননে থাকা অন্য বন্ধুদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ দূতাবাস চাল, তেল ও ডাল দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। লেবাননের একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীও তাদের সাহায্য করেছে।
এ নিয়ে রাব্বোল বলেন, আমরা যে ধরণের সহায়তা পেয়েছি তা তাদের বেশি দিন খাওয়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। আশ্রয়কেন্দ্রে বাংলাদেশিদের শুধু খাবারের পেছনে দৈনিক প্রায় ১০০ ডলার খরচ হয়।
ঠিকানা/এসআর