পার্বত্য জেলায় সাম্প্রতিক সময়ে অস্থিরতা ও বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিবেচনায় মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনদিন সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছে জেলা প্রশাসন। ২৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানান।
তিনি জানান, বর্তমানে পার্বত্য জেলায় যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে পর্যটক ভ্রমণে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। যা পরবর্তীতে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ছড়িয়ে পড়ে চারজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়। দীঘিনালার এই সড়ক ধরে খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকে যেতে হয়। গত শনিবার থেকে ৭২ ঘণ্টার অবরোধে কারণে আটকা পড়ে দেড় হাজার পর্যটক। এ সময় যান চলাচল বন্ধ থাকায় এবং বিদ্যুৎ সাব স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সাজেকে বিদ্যুৎ-পানি ও খাদ্য সঙ্কটে পড়ে পর্যটকরা।
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ির সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ চালু হয়েছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকার বাস চলাচল চালু হলেও মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, ফেনী, কুমিল্লাসহ সারাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। তিন দিনের অবরোধ শেষে সকাল থেকে যাত্রীদের ভিড়ে কর্মব্যস্ততা ফিরেছে টিকেট কাউন্টার গুলোতে।
অপরদিকে, অতঙ্ক আরও ভয় কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে পার্বত্য অঞ্চলের জেলা রাঙামাটি। ২৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) শহরের সহিংসতার পর বনরুপা সাপ্তাহিক বাজারে পাহাড়ি-বাঙালি ক্রেতা বিক্রতায় অন্য স্বাভাবিক দিনের মতো।
বাজারে পাহাড়ি বিক্রেতা যেমন ছিলো তেমনি ছিলো বাঙালি বিক্রেতাও। কেটা কাটায় ব্যস্ত ছিলো সব সম্প্রদায়ের মানুষ। স্বাভাবিক হতে শুরু করেলেও কিছু ভয় ও আতঙ্ক ছিলো সবার মনে।
ঠিকানা/এএস