তোশাখানা মামলাসহ বেশ কিছু মামলায় বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। তবে সেখানে থেকেই সরকারি কর্মকর্তাদের পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বিক্ষোভে উস্কানি দিচ্ছেন ইমরান খান। এমন অভিযোগ তুলে ইমরান খানের ওপর বিদ্রোহে উস্কানি দেওয়ার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) ১৩ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছে বলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের সূত্র জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্ত এবং প্রযুক্তিগত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি এফআইএ দল ইমরান খানকে তার অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে একটি বিতর্কিত পোস্টের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদিয়ালা জেল পরিদর্শনে গিয়েছিল। তবে ইমরান খান তার আইনজীবীদের উপস্থিতি ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দেন ওই তদন্ত কর্মকর্তাদের।
এর আগে, ইমরান খানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলি থেকে বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আতাউল্লাহ তারা।
এ বিষয়ে তিনি তখন বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য এসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহৃত হচ্ছে। তার এই অ্যাকাউন্টগুলি কারা ব্যবহার করছেন তা নিশ্চিত করা হবে এবং এই ধরনের পোস্টগুলি ইমরান খানের নির্দেশে করা হয়েছিল নাকি অন্য কারও নির্দেশে করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে জানা হবে।
তথ্য মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এসব পোস্টের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রীয় দুটি বড় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জনগণকে সংগঠিত করার চেষ্টা করেছেন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ বিষয়ে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে তদন্ত করা হবে। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার অ্যাকাউন্ট থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা বার্তাটি ছিল ‘দেশে রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং নৈরাজ্য সৃষ্টির সমতুল্য’। তিনি আরও বলেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান সাম্প্রতিক পোস্টে নিজেকে শেখ মুজিব-উর-রহমানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি কি, সে সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। সেখানে সত্য উপলব্ধি করার পরে লোকেরা তাদের মূর্তিগুলি ভেঙে দিয়েছে।
ঠিকানা/এএস