বাঙালির দুপুর মানেই ভাত। সঙ্গে কখনও মাছ, কখনও ভর্তা। মাংসও থাকে মাঝেমধ্যে। তবে, করপোরেট দুপুরে সবসময় এক মেন্যু চলে না। ব্যালেন্স করতে হয় সাধ আর সাধ্যের মধ্যে।
আপনি আগে ভালো মানের মানের হোটেলে খেতেন। খরচ কমাতে হয়ত এখন কম দামের খাবারের দোকানে খাচ্ছেন। কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী, মিডিয়াকর্মী এসব খাবার নিয়মিত খাচ্ছেন।
কারওয়ান বাজারের কিছু হোটেল ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ মানুষ এ খাবার খাচ্ছেন বিভিন্ন মানের হোটেলে। কেননা, রাজধানীর এ এলাকায় অনেকে মেসে থাকেন। আবার অনেক অফিসকর্মী আছেন, যাদের বাসায় রান্না হয় না। অন্যদিকে, ব্যাচেলর অফিসকর্মীদের সময় স্বল্পতা, পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্যের দামের কারণে খরচ প্রায় সমান হয় বলে রান্না করতে চায় না অনেকে। মূলত, এজন্য অধিকাংশই দুপুরের খাবার খাচ্ছেন বাইরে হোটেলে।
কারওয়ান বাজারে ৫০ টাকার দুপুরের খাবারে আছে ভাত, মাছ, সবজি ও ডালের আইটেম। এখানে ৫০ টাকার মধ্যে ভরপেট খাবার খাওয়া যায়। কিন্তু, কারওয়ান বাজারে অন্যান্য হোটেলে খাবার খেতে গেলে কমপক্ষে ১৫০ থেকে শুরু করে আরও বেশি টাকা লাগে।
কারওরান বাজারে কর্মরত বুলবুল নামের এক মিডিয়া কর্মী জানান, ৫০ টাকায় দুপুরে যে খাবার খান, তার মান ভালোই। আরেক অফিস কর্মী আরিফ জানান, সব কিছুর দাম বাড়ায় কারওয়ার বাজারে দুপুরে এ রকম খাবার আমাদের জন্য সুখবর।
দামে কম, মানে ভালো। সপ্তাহের সাতদিন মনের ভুলে হোক আর পকেটের দিকে তাকিয়ে, আপনি ঢুঁ মারতে পারেন কারওয়ান বাজারের হোটেল সুপার স্টারে। এখানেই পাচ্ছেন ৫০ টাকায় দুপুরের ভরপেট খাবার।
ঠিকানা/এসআর