জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ১০ লাখের বেশি মানুষ গেল আগস্টে কোনো খাদ্য সহায়তা পায়নি। গাজার মানবিক পরিস্থিতি বিপর্যয়কর রয়ে গেছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র ৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) জোর দিয়ে বলেছেন, ‘গাজায় দখলদার শক্তি হিসেবে’ ইসরায়েলি সরকারকে মানবিক সংস্থাগুলো যেন সঠিকভাবে তাদের কাজ করতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এদিন এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জাতিসংঘ এবং জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) ভূমিকার গুরুত্বপূর্ণ ওপর জোর দেন এবং জাতিসংঘকে গাজায় মানবিক সহায়তার ‘মেরুদণ্ড, হৃদয়, ফুসফুস ও বাহু’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
মানবিক প্রচেষ্টাগুলোর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ‘গাজায় দখলদার শক্তি হিসেবে’ ইসরায়েলের ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘আমরা ব্যবস্থাপনায় উন্নতির বিষয়ে ইসরায়েলি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছি, বিশেষ করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয় সংস্থা-সিওজিএটির সঙ্গে।’
গাজার মানবিক পরিস্থিতি বিপর্যয়কর উল্লেখ করে মুখপাত্র ডুজারিক বলেন, জুলাইয়ের তুলনায় সরবরাহ করা রান্না করা খাবারে উল্লেখযোগ্য ৩৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর জারি করা একাধিক উচ্ছেদ আদেশের জন্য এমনটি ঘটেছে। কমপক্ষে ৭০টি কিচেনকে হয় রান্না করা খাবার সরবরাহ স্থগিত করতে অথবা অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। আগস্টে গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের ১০ লাখের বেশি মানুষ খাদ্য সহায়তা পায়নি।
অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, প্রায় ৪০ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু এবং ৯৪ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং এই অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
ঠিকানা/এসআর