ক্ষুধা পেলে কী কারও মাথা ঠিক থাকে? সামনে যা পাওয়া যায়, তাই দিয়ে ক্ষুধা নিবারণ করতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে যা এমন ক্ষুধার সময়ে মোটেই খাওয়া উচিত নয়। কেননা এসব খাবার প্রচণ্ড ক্ষুধার সময়ে খেলে স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হয়। আবার কিছু খাবার আছে তা খেলে ক্ষুধা ভাব অল্প সময়ের কমলেও কিছুক্ষণ পর ক্ষুধা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। এবার জেনে নিন কোন খাবারগুলো ক্ষুধার সময়ে একেবারেই খেতে নেই...
ঝাল খাবার : মধ্যাহ্নভোজ (লাঞ্চ) সারতে দেরি হয় গেছে। তাই হাতের কাছে পাওয়া ঝাল ঝাল কোনও মুখরোচক খাবার অর্ডার করে বসলেন আর তা দিয়েই মধ্যাহ্নভোজ সেরে নিলেন। এর ফলে কি হবে জানেন? আপনার হজমের সমস্যা তৈরি হবে। খালি পেটে ঝাল খাবার খেলে এই মশলা আপনার পাকস্থলীর আবরণের (স্টমাক লাইনিং) ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। তাহলে কী করবেন? ঝাল ঝাল খাবার খাওয়ার আগে দুধ বা দই খেতে পারেন। এতে সরাসরি ঝালের প্রভাব পাকস্থলীর ওপর পড়বে না।
ফল : অনেক ক্ষুধা পেলে অনেকেই রাস্তার টং দোকান থেকে একটা কলা খেয়ে নেন। কিন্তু খালি পেটে যে ফল খেতে নেই। ক্ষুধার সময়ে একটা আপেল বা একটা কলা খেয়ে বেশিক্ষণ থাকতে পারবেন না। ফলে আপনার খিদে খিদে ভাব দ্রুত ফিরে আসবে। এর সঙ্গে আপনার খাওয়া উচিৎ কোনও প্রোটিন ধরনের খাবার। ফলের আগে খেয়ে নিন কিছু বাদাম, পিনাট বাটার বা পনির। এরপর খেতে পারেন ফল।
কমলালেবু, কফি বা সস : এই সব খাবার খালি পেটে খেলে অ্যাসিডিটি তৈরি হয়। আবার পেট খারাপ হবার সম্ভাবনাও তৈরি হয়। বিশেষ করে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য খালি পেটে কফি পান করাটা অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাহলে ক্ষুধার সময়ে কিছু সবজি খেতে পারেন এবং সবজির সালাদও খেতে পারেন। সবজি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। সেদ্ধ ডাল বা সামান্য মশলার মুরগীর মাংসও এ সময়ে খাওয়া যেতে পারে।
বিস্কুট বা চিপস : এমনটা হতে পারে যে আপনি আর দুই ঘণ্টা পর লাঞ্চ করবেন। তাই এখন ভারী কিছু খেতে চাচ্ছেন না। তাই অনেকে বিস্কুট বা চিপস খেয়ে থাকেন। কিন্তু ছোট এক প্যাকেট বিস্কুট বা চিপস কিন্তু বেশিক্ষণ পেটে থাকবে না। এগুলোতে থাকা কার্বোহাইড্রেট কিছুক্ষণের মধ্যেই হজম হয়ে যাবে। ফলে আপনার খিদে খিদে ভাব দ্রুত ফিরে আসবে। সে ক্ষেত্রে খেতে পারেন ২৫০-৩০০ ক্যালোরির কোনও খাবার। যেমন- একটা স্যান্ডউইচ বা একটা কেক।
ঠিকানা/এএস 
                           
                           
                            
                       
     
  
 


 ঠিকানা অনলাইন
 ঠিকানা অনলাইন  
                                
 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                
