Thikana News
২৭ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

জাকারবার্গকে বাকি জীবন কারাগারে রাখার হুমকি ট্রাম্পের

জাকারবার্গকে বাকি জীবন কারাগারে রাখার হুমকি ট্রাম্পের ছবি সংগৃহীত



 
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বেআইনি কিছু করলে মার্ক জাকারবার্গকে ‘বাকি জীবন কারাগারে থাকতে হবে’ বলে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

২০২০ সালের নির্বাচনের সময় মার্ক জাকারবার্গের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনেন ট্রাম্প। সামনে নভেম্বরের ভোটে আবার এমনটি করার বিষয়েও সতর্ক করেন।

‘সেভ আমেরিকা’ শিরোনামে ট্রাম্পের নতুন বই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে হোয়াইট হাউসে জাকারবার্গের সঙ্গে বৈঠকের তারিখবিহীন একটি ছবিও বইটিতে আছে।

ট্রাম্প সেখানে লিখেছেন, আমার সঙ্গে দেখা করতে ওভাল অফিসে (যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আনুষ্ঠানিক কাজের স্থান) আসেন। তিনি (জাকারবার্গ) তার খুব সুন্দর স্ত্রীকে নৈশভোজে নিয়ে আসতেন। যে কেউ যতটা সুন্দর হতে পারে, ততটা সুন্দর সাজতেন। সর্বদা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সত্যিকারের চক্রান্তে লজ্জাজনক ‘লক বাক্স ইনস্টল’ করার ষড়যন্ত্র করতেন।

পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় জাকারবার্গ ও তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান ট্রাম্পের নির্বাচনী অবকাঠামো তহবিলে ৪২ কোটি ডলার অনুদানের কথা উল্লেখ করেছেন।

সাবেক এই প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, জাকারবার্গ সে সময় তাকে বলেছিলেন, ‘ফেসবুকে ট্রাম্পের মতো কেউ নেই।’ কিন্তু একই সঙ্গে তিনি ‘আমার বিরুদ্ধে চলে গেছেন’।

ট্রাম্প বইটিতে সতর্ক করেছেন, আমরা তাকে (জাকারবার্গ) নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এবার যদি তিনি অবৈধ কিছু করেন, তবে তাকে বাকি জীবন কারাগারে কাটাতে হবে, যেমনটি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতারণাকারী অন্যরাও করবেন।

গত জুলাইয়ে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছিলেন, নির্বাচিত হলে তিনি ‘নির্বাচনে জালিয়াতকারীদের এমন পর্যায়ে নিয়ে যাবেন, যা আগে কখনো দেখা যায়নি’ এবং তাদেরকে ‘দীর্ঘ সময়ের জন্য’ কারাগারে পাঠাবেন।

ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই জানি আপনি কে। এটা করো না! জাকারবার্গ, সাবধানে থেকো।’

যদিও মেটা প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের অভিযোগ এবং সতর্কতার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এই সপ্তাহের শুরুতে হাউস জুডিশিয়ারি কমিটির চেয়ারম্যান জিম জর্ডানকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন জাকারবার্গ। সেখানে স্বীকার করেছেন, জো বাইডেনের প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তারা ২০২১ সালে কোভিড-১৯ সামগ্রী ‘সেন্সর’ করার জন্য ফেসবুককে বারবার ‘চাপ’ দিয়েছিলেন।

মেটার সিইও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, ‘সরকারের চাপ ভুল ছিল’। সে সময় এ সম্পর্কে কথা না বলার জন্য দুঃখও প্রকাশ করেন তিনি।

জাকারবার্গ ঘোষণা করেছেন, ‘উভয় দিকের প্রশাসনের’ চাপের কারণে তিনি ফেসবুকের সামগ্রিক মানগুলোর সঙ্গে আপস করবেন না। নভেম্বরের নির্বাচনের আগে রাজনৈতিকভাবে তিনি নিরপেক্ষ থাকবেন।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স