করোনার সময়ে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য অ্যাফোর্ডাক কানেক্টিভিটি প্ল্যান (এসিপি) প্রোগ্রামের অধীনে কম খরচে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছিল। বর্তমানে এটি বন্ধ রয়েছে। ওই সময় যারা ৩০ ডলার ইন্টারনেট বিল দিতেন, এখন তাদেরকে অনেক বেশি বিল দিতে হচ্ছে। ইন্টারনেট বিল দিতে গিয়ে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছেন। এসিপি প্রোগ্রাম পুনরায় চালু করে কম খরচে মানুষকে ইন্টারেনট সেবা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে চিঠি পাঠাচ্ছেন গ্রাহকেরা। এমনই একজন গ্রাহক সিনেটর চাক শ্যুমারের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিতে তিনি অনুরোধ করেছিলেন কম মূল্যের ইন্টারনেট সেবা চালু রাখার। ওই এসিপি গ্রাহকের চিঠির উত্তর দিয়েছেন সিনেটর চাক শ্যুমার। গত ৮ আগস্ট সিনেটর চাক শ্যুমার ওই গ্রাহককে জানিয়েছেন, ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশনের (এফসিসি) সাশ্রয়ী সংযোগ প্ল্যান (এসিপি) সম্পর্কে আপনার উদ্বেগ প্রকাশ ও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমি আপনার সঙ্গে একমত যে ইন্টারনেট অবশ্যই সব আমেরিকানের জন্য সাশ্রয়ী এবং অ্যাক্সেসযোগ্য থাকতে হবে। তিনি অবহিত করেন, এসিপি তৈরি করা হয়েছিল সারা দেশে স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোকে সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট সরবরাহ করার জন্য। যারা এ ধরনের সেবা পাওয়ার যোগ্য, সেসব পরিবার তাদের পছন্দের যেকোনো ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য প্রতি মাসে ৩০ ডলার দেবে। এটি আগে করা ইমার্জেন্সি ব্রডব্যান্ড বেনিফিট প্রোগ্রামে করা হয়েছে, যাতে আমেরিকানরা যেখানেই থাকেন না কেন, ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযোগ করার সামর্থ্য লাভ করতে পারেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তহবিল সংকটের কারণে চলতি বছরের ১ জুন এসিপি প্রোগ্রাম শেষ হয়েছে। এর ফলে লাখ লাখ পরিবার যারা এই প্রোগ্রামে নথিভুক্ত ছিলেন, তারা এখন আর তাদের ইন্টারনেট বিলের ওপর ছাড় পাচ্ছেন না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, কংগ্রেসকে অবশ্যই এই অত্যাবশ্যক প্রোগ্রামটিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য একটি সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। উচ্চগতির ইন্টারনেট অ্যাক্সেস পুনরায় সম্প্রসারণ করার কাজ চালিয়ে যেতে হবে। সম্প্রতি সিনেটর পিটার ওয়েলচ সাশ্রয়ী মূল্যের সংযোগ প্রোগ্রাম এক্সটেনশন অ্যাক্ট অফ ২০২৪ (ঝ.৩৫৬৫) চালু করেছেন। এই আইনটি, যা বর্তমানে সিনেট কমিটি অন অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনের জন্য পর্যালোচনাধীন রয়েছে, যাতে ২০২৪ সালের বাকি সময়ে এসিপি তহবিল দেবে। তিনি আরও আশ্বাস দেন, সিনেটের মাধ্যমে এই বিলের অগ্রগতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
নিউইয়র্ক স্টেটের আরেক সিনেটর ক্রিস্টিন জিলিব্র্যান্ডও গ্রাহকের চিঠির উত্তর দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, করোনার সময়ে লেখাপড়াসহ বেশির ভাগ কাজ রিমোটলি হতো। ওই সময়ে স্বল্প আয়ের পরিবারের জন্য এসিপি প্রোগ্রামের অধীনে হাইস্পিডের ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যারা মাসে ৩০ ডলার পেমেন্ট করত, যেসব পরিবার এই প্রোগ্রামের অধীনে ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়ার যোগ্য ছিল।