পদ না থাকলেও বিশেষভাবে পদ তৈরি করে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে পুলিশের ৫২৯ কর্মকর্তাকে। এ ক্ষেত্রে সুপার নিউমারি পদোন্নতি পাচ্ছেন এসব কর্মকর্তারা। পদোন্নতি পেলেও তারা আগের পদের দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের ইনসিটু পদায়ন (আগের পদে দায়িত্ব পালন) দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ -১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মাহবুবুর রহমান শেখ গণমাধ্যমকে জানান, এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব নিয়ে কাজ হচ্ছে। তবে সংখ্যাটি সঠিকভাবে বলা যাবে না। প্রস্তাবটি এখনো মন্ত্রণালয়ে আছে। এটা যাচাই বাছাই হবে। এটা নিয়ে বলার মতো এখনো কিছু নেই। তবে এটা নিয়ে কাজ হচ্ছে এটা সত্য।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সদর দপ্তরের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সুপার নিউমারি পদ সৃজন সংক্রান্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি বেশ কয়েকটি বৈঠক করে। ২০ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ ও এনটিএমসি শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. আলী হোসেনের সভাপতিত্বে সবশেষ সভা হয়। ওই সভায় ৫২৯ জনকে পদোন্নতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শিগগিরই সিদ্ধান্তের বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালকে অবগত করা হবে। এরপরই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
যাদের পদোন্নতি দিয়ে ইনসিটু পদায়ন দেওয়া হবে তাদের মধ্যে অ্যাডিশনাল আইজি (গ্রেড-১) এ পদমর্যাদার ১৫ এবং একই পদে গ্রেড-২ পদমর্যাদার ৩৪ কর্মকর্তা আছেন। এছাড়া ডিআইজি হিসেবে ১৪০, অতিরিক্ত ডিআইজি ১৫০ এবং পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১৯০ কর্মকর্তা আছেন।
সূত্র জানিয়েছে, এ ৫২৯ কর্মকর্তা ছাড়াও ২৮তম বিসিএস ক্যাডার ব্যাচের ১৫০ জন কর্মকর্তা অ্যাডিশনাল এসপি থেকে এসপি পদে পদোন্নতির অপেক্ষায় রয়েছেন। ২০১২ সালে বাহিনীতে যোগদানকারী ৩০তম বিসিএস ক্যাডার ব্যাচের প্রায় ১৮২ পুলিশ কর্মকর্তা এবং পরের বছর চাকরিতে যোগ দেওয়া ৩১তম বিসিএস ক্যাডার ব্যাচের ১৮২ জন অ্যাডিশনাল এসপি থেকে এসপি পদে পদোন্নতির অপেক্ষায় রয়েছেন।
এর আগে পুলিশের উচ্চপর্যায়ের ৭২০ কর্মকর্তার পদোন্নতি চেয়ে ইনসিটু পদায়নের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় পুলিশ সদর দপ্তর। ওই প্রস্তাবে ৫০ জন ছিলেন অতিরিক্ত আইজি। তাদের মধ্যে গ্রেড-১ পদমর্যাদায় ১৬ এবং গ্রেড-২ পদমর্যাদায় ৩৪ জন কর্মকর্তা। এছাড়া ১৫৭ জন ডিআইজি, ২৬৬ জন অতিরিক্ত ডিআইজি এবং ২৪৭ জন এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন।
ঠিকানা/এসআর