আগা সালমানের বলটিকে ফাইন লেগে খেলে দ্রুতই ২ রান আদায় করে নিলেন মুশফিকুর রহিম। দাগ ছোঁয়ার আগেই গলা ফাটানো গর্জন তার গলায়। তিনি যে পেয়ে গেছেন ক্যারিয়ারে তার একাদশ সেঞ্চুরির দেখা। যেভাবে পিচ আঁকড়ে ধরেছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল তিন অঙ্কের রান না ছুঁয়ে তিনি মাঠ ছাড়বেন না। শেষ পর্যন্ত তিনি শতরান পেয়েই গেলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি। তার মাইলফলক ছোঁয়ার পরই মধ্যাহ্নবিরতিতে গেছে দুই দল।
২০৮ বলে ১২ চারের সাহায্যে ১০১ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। শুরু থেকেই তিনি খেলছিলেন দেখেশুনে। মারার বল পেলেই কেবল বড় শট খেলার চেষ্টা করছিলেন। ব্যাটিং সহায়ক হিসেবেই পরিচিত রাওয়ালপিন্ডির উইকেট। তবে এবার যোগ হয়েছে তীব্র গরম। সেই তীব্রতার মধ্যেও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন মুশফিক। তাতেই পেয়ে গেছেন ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরিটা।
মুশফিক সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন মিরপুরে গত বছরের এপ্রিলে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৭ ইনিংস পর আবারও তিনি শতরানের ছোঁয়া পেলেন।
অপরপ্রান্তে সঙ্গী মেহেদি হাসান মিরাজ ৪৪ বলে ১৭ রানে অপরাজিত আছেন। দিনের শুরুতে অবশ্য তার সঙ্গী ছিলেন লিটন দাস। তবে তিনি ৫৬ রান করেই আউট হয়ে গেছেন। তারপর মুশফিককে সঙ্গ দিয়ে আসছেন মিরাজ।
১১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ৩৮৯ রান সংগ্রহ করেছে। পাকিস্তান এখনো এগিয়ে আছে ৫৯ রানে।
ঠিকানা/এনআই