ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ত্রিপুরায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় ভারতের এ অঞ্চলে এরই মধ্যে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭ লাখ মানুষ। এ অবস্থার মধ্যে ত্রিপুরায় আবারও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ভারতের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) শনিবার (২৪ আগস্ট) পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে, ত্রিপুরার দক্ষিণ, উত্তর, উনাকোতি এবং ধালাই বিভাগে (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) ভারী বৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে ত্রিপুরার সব বিভাগে বজ্রসহ ঝড় হতে পারে।
আইএমডির পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশে একটি নিম্নচাপ তৈরির পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ফলে শিগগির এই বৃষ্টি থামছে না। এ ছাড়া শনিবারের মধ্যে নিম্নচাপটি গঠিত হওয়া শুরু করবে। বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এই নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আরও কয়েক দিন ভারী বর্ষণ হতে পারে ত্রিপুরায়।
শনিবার ছত্তিশগড়, বিদর্ভ, মধ্যপ্রদেশ, ওডিশা, কোঙ্কন এবং গোয়া, মধ্য মহারাষ্ট্র, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং মণিপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আইএমডি।
আবহাওয়া দপ্তর শনিবারের পূর্বাভাসে আরও বলেছে, উত্তর অভ্যন্তরীণ কর্ণাটকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ২৪ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত উপকূলীয় কর্ণাটকে এবং ২৪ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট কেরালা ও মাহেতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
গত সপ্তাহে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতের ত্রিপুরায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। পরবর্তীতে ত্রিপুরায় গোমতী নদীর ওপর তৈরি ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়া এবং বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশে দেখা দেয় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। এতে দেশের বেশ কয়েকটি জেলা মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছে।
ঠিকানা/এনআই