সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। একইসঙ্গে বাজারগুলোতে দেশি ও ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। ২৩ আগস্ট (শুক্রবার) রাজধানীর খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা এমন চিত্র গেছে।
এসব বাজারগুলোতে কচুরমুখী বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকার ভেদে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা ও গাজর ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাজারগুলোতে লালশাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১৫ টাকা, পালংশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। লেবুর হালি ১৫ থেকে ৩০ টাকা, ধনেপাতা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়, যা গত একমাস আগেও ছিল ২০০ টাকার মধ্যে। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় দাম কম থাকায় মুরগির মাংসের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে।
শফিক নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, আমরা যারা গরীব মানুষ, আমরা চাইলেই গরুর মাংস খেতে পারি না। মুরগির মাংসের দামটা নাগালে থাকলে এটাই হয়ে উঠে আমাদের গরুর মাংস। কিন্তু দাম বেড়ে গেলেই আর ঠিকমতো খাওয়া হয়ে উঠে না।
তিনি বলেন, ব্রয়লার আজকে ১৬৫ টাকা দিয়ে কিনেছি, আমার কাছে মনে হচ্ছে এটাই এই বছরে সর্বনিম্ন দাম। সবসময় এই দামের মধ্যে থাকলেই আমরা খুশি।
যাত্রাবড়ীর বাজারের মুরগির মাংস বিক্রেতা সজিব মিয়া বলেন, গত কয়েকদিনে ব্রয়লার মুরগির দামটাও একটু কম। মাস দুয়েক আগে একবার ১৭০ টাকা পর্যন্ত আসছিলো, কিন্তু এরপর আবার দামটা বেড়ে যায়। গত মাসেও ২০০ টাকার বেশি ছিল, আজ আবার ১৬০-১৬৫ টাকা করে বিক্রি করছি।
ঠিকানা/এএস